ডা. মুরাদকে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি বিএনপির
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসানকে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের যে নির্দেশনা দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল রিজভী বলেছেন, তাকে গ্রেফতার করে প্রচলিত আইনে তার বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, এই ধরনের ব্যক্তির রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। সে যে কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলেছেন, সেজন্য তাকে রাজনীতি করার অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। তাকে সকল পর্যায় থেকেই সরিয়ে দিতে হবে। এবং প্রচলিত আইনে তার বিচার করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, হাট-বাজার, গণমাধ্যম-সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজপথের প্রতিবাদী মিছিল, সর্বত্রই যখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে একাট্টা, তখন মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে নিতে নতুন নতুন নাটক তৈরী করা হচ্ছে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, অবৈধ সরকারের মন্ত্রিত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিদিন বিএনপি তথা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে খিস্তিখেউড় করাই ছিল তার একমাত্র কাজ। খিস্তিখেউড়ে তথ্য-প্রতিমন্ত্রী মুরাদ তার সিনিয়রদের অতিক্রম করে দিনে দিনে দুর্বিনীত হয়ে উঠেছিল। ভব্যতা সভ্যতার সকল সীমা অতিক্রম করে মুরাদ জনগণের সামনে দানবের মতো আবির্ভূত হয়েছে। এরা আমাদের সমাজে বসবাস করবে, কিন্তু তাদের আচরণ, চলাফেরা ও কথাবার্তায় প্রতিফলিত হয় কুরুচি, বিবেকবর্জিত ও নারী বিদ্বেষ। তাহলে সেই সমাজে কত বিষাক্ত নৈরাজ্য তৈরী হতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়।
তিনি বলেন, নারী বিদ্বেষী, বর্ণবিদ্বেষী মুরাদের মানসিকভাবে বিকৃত বক্তব্য সারা জাতিকে হতবাক ও স্তম্ভিত করেছে। উপর মহল থেকে আস্কারা পেয়ে অসুস্থ মানসিকতার একজন ব্যক্তির হাতে ক্ষমতা থাকলে ক্ষমতার অপব্যবহারে সে যে বিকারগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে তথ্য-প্রতিমন্ত্রী মুরাদ সেটির একটি প্রমাণ। এরকম একজন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েই মন্ত্রী হয়ে ক্ষমতার আস্ফালনে দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীতে পরিণত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, শামা ওবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।