অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, একজনের ফাঁসি

0
.

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে শারমিন আক্তার নামে মধ্যবয়সী নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় অভিযুক্ত জসীম উদ্দীন বাপ্পি (৫০) নামে একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে একলাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪এর বিচারক জামিউল হায়দার এ আদেশ দেন। রায়ে আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন। দুই আসামি মারা যাওয়ায় তাদের মামলার বিচার কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর সরকারি কৌঁসুলি নিখিল কুমার নাথ বলেন, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকায় পাহাড়ে কাঠ সংগ্রহ করতে যায় শারমিন আক্তার (৪০)। সেখানে আসামিরা শারমিন আক্তারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শারমিন আক্তারকে আসামী বাপ্পি ছুরির আঘাতে হত্যা করেন। একদিন পর শারমিনের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়।ওই দিন ৩০ মার্চ শারমিনের মেয়ে ইয়াসমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন।

পরে পুলিশ সন্দেহজনকভাবে আসামি জসীম উদ্দীন বাপ্পিকে গ্রেফতার করলে তিনি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অন্য আসামীদের নাম জানায়। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

আসামী মো. জসীম উদ্দিন বাপ্পী (৩৫) নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ থানার চরতাকিয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার পুত্র।

আসামীরা হলেন- একই এলাকার বাসিন্দা আইয়ূব খান (৩৬) ও শরীফ আহম্মদ (৫০) সরওয়ার আলম সেরু (৫৫) ও আব্দুল মোতালেব লিটন (৪২)। এর মধ্য প্রথম দুই আসামী খালাস পেয়েছেন। বাকি দুই আসামি কারাগারে জেলহাজতে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মোট ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ১৭ জনকে আদালতে উপস্থাপন করে সাক্ষ্যগ্রহণ করে।সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি জসীম উদ্দীন বাপ্পির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেন।

রায় ঘোষণাকালে আদালতে উপস্থিত থাকা শারমিনের মেয়ে ও মামলার বাদী ইয়াসমিন বলেন, আমরা অত্যান্ত গরীব। আমার মা পাহাড়ে বাগানে কাজ করত। লাকড়ি খুঁজে এনে বিক্রি করত। আসামিরা আমার মাকে অসহায় পেয়ে এমন নির্যাতন করে খুন করেছে, যারা খালাস পেয়েছে শরীফ ও আইয়ূব, এরাই মূল খুনি। এদের খালাস দেওয়া আমি মানি না, আমি উচ্চ আদালতে যাব।