অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

এবার নিবন্ধন ও কাগজ ছাড়াই নেওয়া যাবে করোনার টিকা

0
.

আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির পর কোভিড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া আপাতত বন্ধ হচ্ছে, তার আগ পর্যন্ত নিবন্ধন ও কোন কাগজ ছাড়াই নেওয়া যাবে টিকা। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে অধিদপ্তরের অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ডা. মো. শামসুল হক এ কথা জানান।

এক দিন আগেই অধিদপ্তর জানিয়েছিল, ২৬ ফেব্রুয়ারি এক দিনে ১ কোটি ডোজ টিকা দিয়ে আপাতত কোভিড টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ বন্ধ করা হবে। এরপর দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ দেওয়া চলবে। ডা. শামসুল হক বুধবার বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যে কেউ যে কোনো কেন্দ্রে গিয়ে করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে পারবেন।

দেশে ওমিক্রনের বিস্তার কমে আসায় এক দিনে শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা এক মাস পর নেমে এসেছে ৪ হাজারের নিচে। নিবন্ধন ও কাগজ ছাড়াই
প্রথম পৃষ্ঠার পর

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ হাজার ৯২৯ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি এক দিনে এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ৩ হাজার ৪৭৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। আর গত ২৩ জানুয়ারি এক দিনে এর চেয়ে কম মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেদিন ১৪ জন কোভিড রোগীর মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১২ দশমিক ২০ শতাংশ। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি শনাক্তের হার ১৩ শতাংশ ছাড়ায়, ঐদিন হার ছিল ১৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ। করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে দেশে জানুয়ারির শুরু থেকে সংক্রমণ আবার বাড়তে থাকে। ১ জানুয়ারি যেখানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪০০-এর নিচে ছিল, ১৬ জানুয়ারি তা ৪ হাজার ছাড়ায়।

মাত্র ৯ দিনে ২৫ জানুয়ারি তা পৌঁছায় ১৬ হাজারের ঘরে। ২৮ জানুয়ারি শনাক্তের হার পৌঁছায় রেকর্ড ৩৩ শতাংশে। তবে জানুয়ারির শেষ দিক থেকেই শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমতে শুরু করে। নতুন রোগীদের নিয়ে মহামারির মধ্যে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ২৩ হাজার ৩১ জনে। তাদের মধ্যে ২৮ হাজার ৮৮৭ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ ভাইরাস। সরকারি হিসাবে এই সময়ে সেরে উঠেছেন ১২ হাজার ৭৫৭ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠলেন ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৬৬ জন। সেই হিসেবে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৮ জন।

অর্থাৎ এই সংখ্যক রোগী নিশ্চিতভাবে সংক্রমিত অবস্থায় রয়েছে। মহামারির মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত এক দিনে শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ২ হাজার ৬১৪ জনই ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা, যা মোট আক্রান্তের ৬৬ শতাংশের বেশি। গত এক দিনে যে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং পাঁচ জন নারী। তাদের মধ্যে পাঁচ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের চার জন, খুলনা বিভাগের দুই জন, বরিশাল বিভাগের এক জন, সিলেট বিভাগের এক জন এবং রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন এক জন। তাদের ৯ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি, চার জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, এক জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং এক জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল।