অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বই মেলায় মৌলবাদী বই রাখা যাবে না: মেয়র রেজাউল

0
.

চট্টগ্রামে মাসব্যাপী একুশে বই মেলার উদ্ধোধন হয়েছে। আজ রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়াম চত্বরে বইমেলা উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

এসময় মেয়র বলেছেন, চট্টগ্রামের একুশে বই মেলাকে ঘিরে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ইসলামিক, ধর্মীয় বই রাখা যাবেনা এমন প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ইসলামি-ধর্মীয় বই রাখা যাবে না এটা কোথাও বলা হয়নি। অবশ্যই ইসলামি বই রাখা যাবে। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই কোনো মৌলবাদী বই রাখা যাবে না। অনেক ইসলামি প্রকাশনা এখানে রয়েছে। কোনো মিথ্যা প্রপাগান্ডায় কান দেবেন না, গুজবে কান দেবেন না।

মেলায় শিশুদের বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কিত বই উপহার দেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘মিথ্যা গুজব ও প্রপাগান্ডা ছড়ানোরা একাত্তরেও ছিল, এরা আগেও ছিল, এখনো আছে। জঙ্গিবাদের আশ্রয়দাতা যারা, জঙ্গিবাদকে যারা উৎসাহিত করে, যে বই পড়ে আমাদের তরুণ প্রজন্ম জঙ্গিবাদে উৎসাহিত হয় সেই সমস্ত বই এ মেলাতে রাখা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ। আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন করেছি। আমরাই একমাত্র জাতি নিজের মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রক্ত দিয়েছি। পৃথিবীর আর কোনো জাতি নিজের মায়ের ভাষার জন্য রক্ত দেয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। প্রতিবছর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এখানে একুশের বইমেলা করে থাকে। গতবার করোনার কারণে বইমেলা করা যায়নি। এবারও দেরি হয়েছে একই কারণে। আমাদের সৌভাগ্য সবার মিলিত প্রচেষ্টায় একটু দেরিতে হলেও আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিতভাবে বইমেলা করতে পারছি। আমাদের এ আবেগের মাস, এ ভাষার মাসে আমরা একুশের বইমেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেছি। যারা এসেছেন সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চসিকের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বইমেলা যেহেতু অমর একুশকে ঘিরে তাই মেলার মঞ্চ, বরাদ্দপ্রাপ্ত স্টলসজ্জা যাতে ভাষা দিবসের ইতিহাস ঐতিহ্য লড়াই সংগ্রাম সম্পর্কীয় হয়।

চসিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে বই মেলা চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বইমেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ১ লাখ ৩০ হাজার বর্গফুটে ২৫টি ডাবল ও ৭০টি সিঙ্গেল স্টল থাকছে। সঙ্গে থাকছে বঙ্গবন্ধু কর্নার, নারী লেখক কর্নার, শিশু কর্নার ও ওয়াইফাই জোন।

অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে মাতৃভাষা দিবস, লোক উৎসব, রবীন্দ্র উৎসব, তারুণ্য উৎসব, নারী উৎসব, বিতর্ক উৎসব, নজরুল দিবস, বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ উদযাপন, মরমি উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, চাটগাঁ উৎসব, যুব উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, ঐতিহাসিক সাতই মার্চের আলোচনা অনুষ্ঠান ও ছড়া উৎসবসহ ১০ মার্চ সমাপনী অনুষ্ঠান।