অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বড়দিনে জেনারেটর আলোয় আলোকিত বোয়ালখালীর খ্রিষ্টানপল্লী!

0
বিদ্যুৎ সংযোগ না পেয়ে বড় দিনে জেনারেটরের আলোয় সেজেছে বোয়ালখালীর এ গীর্জা।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর ‘সেন্ট ফ্রান্সিস এক্সজিভিয়েট চার্চ’ সেজেছে নিয়ন আলোয়। তবে এ নিয়ন আলো জেনারেটরের। বড়দিন উপলক্ষে আলোকিত করা হয়েছে বোয়ালখালী উপজেলার একমাত্র গির্জা সেন্ট ফ্রান্সিস এক্সজিভিয়েট চার্র্চ। ১৯৬৫ সালে নির্মিত এ চার্চের প্রতিবারের ন্যায় এবারো পালন করা হবে বড়দিন।

আগামী ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষে গির্জা মিশা (প্রার্থনা), খাবার ও আনন্দোৎসবে যোগ দিবে বোয়ালখালী উপজেলা একমাত্র খ্রিষ্টানপল্লী। উপজেলার পূর্ব গোমদন্ডী এ খ্রিস্টান পল্লীতে ২৩ পরিবারের বসবাস রয়েছে। তারা বড়দিন উদযাপনে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় শুরু হবে বিশেষ গির্জা মিশা।

.

২৫ ডিসেম্বর সকালে গির্জা মিশায় যোগদানের মধ্যে দিয়ে দিনব্যাপী নানা আয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্ট ফ্রান্সিস এক্সজিভিয়েট চার্চ’র পরিচালনা কমিটির সভাপতি জন রড্রিক্স।

তিনি বলেন, ৫০ বছর আগে ফাদার ফিটার রড্রিক্স এ চার্চ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ফাদার টেরেন্স রড্রিক্স এ চার্চের ধর্মীয় সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তবে এর সকল কার্যক্রম মনিটরিং করা হয় নগরীর পাথরঘাটা মিশন থেকে।

চার্চের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য দুই বছর আগে আবেদন করেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় বছরের বাকি সময় মোমবাতির আলোয় ধর্মীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেন বলে জানান চার্চ পরিচালনা কমিটি। দুইটি বৈদ্যুতিক খুঁটির প্রয়োজনীয়তা এ সংযোগ আর পাওয়া যায়নি।

তবে এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এলাকা  পরিচালক আশরাফ উদ্দিন কাজল জানান, তাদের কোনো আবেদন হাতে পাওয়া যায়নি। তারা নতুন করে যদি যোগাযোগ করেন তবে সহযোগিতা করা হবে।

.

খ্রিস্টানপল্লীর বাসিন্দা রোমিও বলেন, ২৩ পরিবারের নিয়ে এ ছোট্ট খ্রিস্টানপল্লীর রাস্তাঘাট অবহেলায় জর্জরিত। সরকারি-বেসরকারি কোনো সংস্থা সাহায্য সহযোগিতা করেননি। তবে বিএনপি সরকার আমলে একবার রাস্তাঘাটের উন্নয়নে বরাদ্দ পেয়েছি। রাস্তাঘাট সংস্কারে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন বলেও জানান তিনি। এখন ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাকো দিয়ে খাল পার হয়ে লোকজনকে গীর্জায় প্রার্থনা করতে যেতে হয়।