অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বাঁশখালীতে দুই সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

0
.

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ অটোরিকশাচালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সোমবার (১৬ মে) রাতে উপজেলার বৈলছড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন— উপজেলার বৈলছড়ি ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের শফিক আহমেদের পুত্র মো. মোক্তার (৪০), একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুস ফকিরের ছেলে মো. সরওয়ার (৩৫) ও ৪ নং ওয়ার্ডের ফরিদ আহমদের পুত্র নুরুল আলম (৩৫)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয়রা তিনজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে,দুই সন্তানের জননী (৩৪) উক্ত নারী গত শুক্রবার (১৩ মে) সকাল ১১ টায় উপজেলার কালীপুরের পূর্ব পালেগ্রাম শাহবারিয়া মাদ্রাসায় যায়। ওই মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে বাড়িতে ফিরে আসার জন্য কালীপুর ফকিরের দোকান এলাকার ফয়েজ আহমদের ছেলে শহিদুল ইসলামের অটোরিক্সায় ওঠে। ওই গৃহবধূকে শহিদুল ভিতরের রাস্তা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বৈলছড়ি আজিজিয়া (ফকিরপাড়া) মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে কালীপুর-বৈলছড়ী সীমান্ত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বরকাটা এলাকার গভীর জঙ্গলে নিয়ে যায়।

সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ৫-৭ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল ওই মহিলাকে শারীরিক মারধরসহ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরদিন শনিবার সকালে পরিবারের লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বাঁশখালী থানা পুলিশ ।

গতকাল সোমবার (১৬ মে) দিবাগত রাত ১ টায় নির্যাতিতা ওই নারীর মা বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর আজ মঙ্গলবার একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের হয় বলে জানায় পুলিশ।