হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেন-ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও উম্মাহাতুল মোমেনিন মা আয়েশা ছিদ্দিকা (রাঃ) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে অবিলম্বে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করতে হবে। এবং ভারতীয় হাই কমিশনারকে তলব করে নুপুর শর্মা ও নবীন কুমার জিন্দালকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তিনি শুক্রবার ১৭ জুন, রাতে চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ্ ময়দানে শানে রেসালত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন।
জেফাজত আমির বলেন-ভারতে দীর্ঘ ১৯০ বছরের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদের অবদান ছিল উজ্বলতর। কিন্তু ভারতের বর্তমান শাসক গোষ্ঠী বিজেপি ভারতের সংবিধান বিরোধী আচরণ ও সাম্প্রদায়িক বৈষম্য ভারতকে এক নতুন চেহারায় উপনীত করেছে। ভারতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর অবমাননার বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্ব ফুঁসে উঠলেও বর্তমান সরকার ভারতকে খুশি করতে নিরব ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আরও বলেন-দেশের বৃহত্তম ইসলামী জনগোষ্ঠীর সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সরকার নিজেদের সর্বনাশ করছে। বুলডোজার দিয়ে মুসলিমদের বাড়ী-ঘর ভেঙ্গে দেওয়ার পরও নবী করিম (সাঃ) কে কটুক্তির করার প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ বন্ধ হচ্ছে না। ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের ইসলাম-মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, শিল্প, সাহিত্য, উন্নতি তথা প্রতিটি ক্ষেত্রেই মুসলমানদের ব্যাপক অবদান রয়েছে। ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি বিজেপির রয়েছে চরম বিদ্বেষ। ২০ কোটি মুসলমান জোর করে বের করে দেওয়া সম্ভব নয়।
সভায় হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান বলেন-আলেম-ওলামা ও দেশের সর্বস্তরের জনগণ রাসূল (সাঃ) অবমাননার প্রতিবাদ করার জন্য সকল কে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন বিশ্ব নবীর অবমাননা কোন মুসলমান সহ্য করবে না। সকলের ঈমানী দায়িত্ব রাসূল (সাঃ) ও মা আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে কুটক্তি করার প্রতিবাদ সকলের জন্য ফরজ।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’র কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমীর, দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া (দা.বা)’র সভাপতিত্বে ও হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ ইদ্রিচ ও মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রব্বানীর যৌথ সঞ্চালনায় শানে রেসালত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আল্লামা ফোরকান উল্লাহ খলিল, নানুপুর ওবাইদিয়া মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান, আল্লামা মুফতি আহমদ উল্লাহ, আল্লামা শেখ আহমদ, আল্লামা সালাউদ্দিন নানুপুরী, আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, আল্লামা আরশাদ রহমানী, আল্লামা আব্দুল কৈয়ম সোবহানী, মুফতি মাহমুদ হাসান বাবুনগরী, আল্লামা আজিজুল হক আলমাদানী, আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজি, আল্লামা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী, আল্লামা মুফতি হাবিবুর রহমান কাছেমী, আল্লামা ড. এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী, আল্লামা ড. আ ফ ম খালেদ হোসেন, মাওলানা ওবাইদুল্লাহ হামজা, মাওলানা হাফেজ শিহাব উদ্দিন সহ হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও দেশবরেণ্য ওলামা মাশায়েক বৃন্দ। –প্রেসবিজ্ঞপ্তি।