অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অক্সিজেন মোড়ে গন্তব্যে পৌছে দেয়ার কথা বলে বাসে তুুলে নারীকে গণধর্ষণ

0
.

বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড় এলাকায় বৃষ্টির মধ্যে গন্তব্যে পৌছে দেয়ার কথা বলে এক নারীকে বাসে তুলে দরজা বন্ধ করে দিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে বাসটির চালকসহ ৪ ব্যাক্তি। এঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রবিবার দুপুরের দিকে অক্সিজেন মোড়ে পার্কিং করা একটি বাসে এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, বাসের চালক বাঁশখালী বানিগ্রাম এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল আলম (৩০), চালকের সহকারী ভুজপুর থানা নতুনপাড়া এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে রবিউল (২৩), বাসের সুপারভাইজার ও খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রাজু (২৬) ভুজপুর থানার নারায়ণহাট ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে মো. শাহাদাত (২২)।

সোমবার বিকেলে বায়েজিদ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘গতকাল রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী বায়েজিদ ছিন্নমূলে তাঁর চাচার বাসা থেকে দুপুরে রিকশাযোগে অক্সিজেন মোড়ে পৌঁছান। ওই ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। ওই নারী অক্সিজেন রেলবিটের পাশে একটি ছাউনির নিচে আশ্রয় নেন। এ সময় সেখানে পার্ক করে রাখা একটি (চট্ট মেট্রো-জ-১১-০১৬৯) বাসে র চালক ও সহকারীরা নারীকে দেখে কোথায় যাবেন জিজ্ঞেস করেন। ওই নারী কোর্ট বিল্ডিং যাওয়ার কথা বলেন। বাসটি কোর্ট বিল্ডিং যাবে বলে ওই নারীকে বাসে তোলেন তাঁরা। এরপর বাসের দরজা বন্ধ করে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ চালক সহকারী সহ ৪জন।

মহিলা জানিয়েছে, ওই সময় বাইরে প্রচুর বৃষ্টিপড়ার কারণে তার চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি। প্রায় একঘন্টা ধরে জনবহুল এলাকায় রাস্তার উপর ধর্ষণকালে একসময় বৃষ্টি থেমে গেলে তার চিৎকার করতে থাকলে তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়।

এরপর ভুক্তভোগী নারী তাৎক্ষণিক অক্সিজেন পুলিশ বক্সে এসে ট্রাফিক পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পরে ট্রাফিক সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ব্যবহৃত বাসটি জব্দ এবং শাহাদাত নামে একজনকে আটক করে।’

পরে গতকাল রাত সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে চালক নুরুল আলম ও সুপারভাইজার রাজু এবং ফটিকছড়ি থেকে রবিউলকে আটক করে।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে চারজনের নামে বায়েজিদ থানায় একটি মামলা করেছেন।

ভুক্তভোগী নারী জানান, তাঁর স্বামীর সঙ্গে তিনি ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকায় থাকেন। কয়েকদিন আগে জুতা কিনতে গিয়ে দরদাম নিয়ে দোকানদার ও কর্মচারীরা স্বামী-স্ত্রী দুজনকে মারধর করে। এঘটনায় আইনগত আশ্রয় নেয়ার জন্য বায়োজিদে চাচার বাসায় গিয়েছিলেন।