চট্টগ্রামে অগ্রণী ব্যাংকে টাকা আত্মসাৎ মামলায় ৯ জনের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামের অগ্রণী ব্যাংকের ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাত মামলায় আদালত সাবেক ৩ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৯ জনকে ৫ বছর করে কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৮ লাখ ৩৯ হাজার ৭০০ টাকা করে জরিমানা করেছেন। দণ্ডিতদের মধ্যে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা ছাড়া বাকি ৬ জন খাতুনগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ি। রায়ে ঘোষণাকালে আদালত দুই আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেন।
আজ (১৭ জানুয়ারি) মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর রহুল আমিন এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার সরকার নিযুক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিত আসামিরা হলেন, অগ্রণী ব্যাংকের খাতুনগঞ্জ শাখার সাবেক ম্যানেজার আনসারুল হক, সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) ক্যাশ অফিসার আব্দুস শুক্কুর, ক্যাশ অফিসার মঈনউদ্দিন চৌধুরী, খাতুনগঞ্জের মেসার্স আলম ব্রাদার্স এন্ড কোম্পানির মালিক জামাল উদ্দিন, নূর ট্রেডার্সের মালিক আব্দুন নূর, ব্যবসায়ী স্বপন কুমার ঘোষ, আজিজ এন্ড ব্রাদার্সের মালিক আজিজুর রহমান, রহমান এন্ড কোম্পানির মালিক শহীদুল আমান এবং মেসার্স পারভিন অটো মোবাইলসের মালিক কোরবান আলী ।
আদালত সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে, ২৮ বছর আগে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নূর ট্রেডার্সের নামে ভূয়া আমদানি ঋণপত্র দেখিয়ে ৭০ লাখ ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেন। এ ব্যাপারে ১৯৮৮ সালের ১৩ অক্টোবর তৎকালিন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর কর্মকর্তা আবু মো.আরিফ সিদ্দিকী বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে নগরীর কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ ৯ বছর তদন্ত শেষে ১৯৯৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ১১ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠনের পর মামলায় মোট ৭ জন সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ মঙ্গলবার আদালত এ সাজার রায় ঘোষণা দেন। ১১ আসামীর মধ্যে ১০ জনই পালাতক বলে জানান পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
এ ধরনের রায়ই প্রত্যাশিত। টাকাও দিতে হবে জেলও খাটতে হবে।।
এ ধরনের রায়ই প্রত্যাশিত। টাকাও দিতে হবে জেলও খাটতে হবে।।
এ ধরনের রায়ই প্রত্যাশিত। টাকাও দিতে হবে জেলও খাটতে হবে।।