অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

লালখান বাজারে কিশোরী ধর্ষণকারী যুবলীগ সন্ত্রাসী জাহেদসহ গ্রেফতার ২

7
লালখান বাজারের যুবলীগ সন্ত্রাসী জাহেদ।

নগরীর লালখান বাজারে ১৩ বছরের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের মূল হোতা ও সাংবাদিক নূরুল আলমের উপর হামলাকারী যুবলীগ সন্ত্রাসী জাহেদসহ ২ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

তাদের সাংবাদিক নুরুল আলম চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।

ঘটনার বিবরনে জানা যায় গত ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় লালখান বাজারের মতিঝর্ণা এলাকার মৃত সোলেমানের কলোনীর ভাড়াটিয়া রিক্সাচালক জামালের কিশোরী মেয়ে কান্না (ছদ্মনাম) কে বাড়িওয়ালার মেজো ছেলে আমজাদ হোসেন বক্কর প্রকাশ বক্কা মতিঝর্ণাস্থ সাত্তার রনির মার পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে ৯ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়া এই কিশোরীর চিকিৎসা তো দূরের কথা, ধর্ষণের বিষয়ে যাতে কাউকে না জানানো হয় সেজন্য তার পরিবারকে হুমকি দেয়া হয়। দুইদিন ধর্ষিত কিশোরী ‘কান্না’(ছদ্মনাম) খাবার পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারেনি।

.

বিষয়টি কিশোরীর পরিবার বাড়িওয়ালাকে জানালে ধর্ষণকারী বক্করের ভাই জামাল, আলাউদ্দিনের বউ পাখি, সন্ত্রাসী ক্যাডার ধর্ষণের মূল হোতা জাহেদ, জাহেদের মা হোসনে আরা বেবি, ধর্ষণের তথ্য গোপন ও অপরাধীদের সহযোগিতাকারী আ’লীগ নেতা ও ধর্ষকদের মূল হোতা জাহেদের বাবা মাহাবুব, মাহাবুবের বোন মমতাজ কিশোরী ‘কান্না’(ছদ্মনাম) ও তার পরিবারকে ভয়াবহভাবে হুমকি দেয়।

এসময়ে ধর্ষণকারী জাহেদ বাকি ৮ ধর্ষককে জাহেদদের ঘরে এনে প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫ হাজার করে টাকা নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার কৌশল নেয়। এই শালিসের বিচারক ও সিদ্ধান্ত দেন মাদক ব্যবসায়ী মাহাবুব। পরের দিন ৩১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৭ টার দিকে হঠাৎ করেই বাড়িওয়ালা জামাল, জাহেদ, বক্কা এসে তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়। এসময় রান্না করা ভাতও খেতে দেয়া হয়নি তাদের। মাত্র আাধা ঘন্টা সময়ের মধ্যে তাদেরকে সরাসরি জমিদার জামাল ও জাহিদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য ধর্ষিত কিশোরী মেয়েসহ তার পরিবারকে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যায় ট্রেনে তুলে দিতে।

কিন্তু এভাবে সবকিছু ফেলে যেতে চায়নি কিশোরীর পরিবার। জামাল ও অপরাপর সন্ত্রাসীরা তাদের ট্রেনে তুলে দিয়ে চলে গেলে আবার নেমে পড়ে পরিবারটি। সারারাত স্টেশনেই কাটায় তারা। পরের দিন জাহেদ তাদের চট্টগ্রামে থেকে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে ধর্ষিত কিশোরীকে মতিঝর্ণায় নিয়ে যেতে লোক পাঠায় এবং নিজেও বার বার ভয় দেখায়। তার পরিবারের দাবি, হয়তো জাহেদ ‘কান্না’ (ছদ্মনাম) কে এলাকায় নিতে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল।

এই ঘটনা এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে বিভিন্ন সূত্রে সাংবাদিকদের জানায় এলাকাবাসি। পরে নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর আব্দুল ওয়ারিশকে সম্পর্কে অবহিত করলে উপ পুলিশ কমিশনার(উত্তর) আব্দুল ওয়ারিশ ঘটনা রহস্য উদঘানের নির্দেশ দেন খুলশী থানার ওসি ও এসিকে।

খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নেজাম উদ্দিন ঘটনার ঘটনার স্থলে গেলেই ভীত কেঁপে উঠে অপরাধীদের, অপরাধিরা সাংবাদিকদের মোবাইলে ফোন করে নিউজ না করার অনুরোধ করেন।

পরে সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক নূরুল আলমের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাকে বিদ্যুতের পিলারের সাথে বেধেঁ আনুষিক নির্যাতন চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এব্যাপারে খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘কান্না’(ছদ্মনাম)র ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। এখন পর্যন্ত (রাত ৮ টা ২৩ মিনিট) ধর্ষণ মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে ইতোমধ্যে আমরা অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের মূল হোতা জাহেদসহ আরেকজনকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতারকৃত আসামি জনিকে ধর্ষণের শিকার কিশোরী সনাক্ত করেছে। আমরা এই মামলাটিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি এবং আসামিদের গ্রেফতারে আমাদের একাধিক টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

৭ মন্তব্য
  1. Abdul Ahad Shakil Patowary বলেছেন

    বাহ! কাঁধে হাত দিয়ে জামাই আদর

  2. Alim Jamaluddin বলেছেন

    সরকারি দলের নেতা কর্মি রা আপরাধ করলে বিচার হয়????

  3. HM Asraf বলেছেন

    সোনার ছেলেদের এগুলো অপরাধ মনে করা জঘন্য কাজ।

  4. Salim Ullah বলেছেন

    পুলিশ কি আসামী নিয়ে যাচ্ছে না তার বন্ধুকে নিয়ে যাচ্ছে?

    1. Arif Uddin বলেছেন

      RIGHT

  5. Wahid Murad বলেছেন

    এই টা কি আসামি না পুলিশের বন্ধু?

  6. Nura Alam বলেছেন

    shala