অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আর নেই

3
.

প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (৭৮) আর নেই। রবিবার ভোর ৪টা ২৪ মিনিটের দিকে তিনি রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে মারা যান।

এর আগে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে এই হাসপাতালেরই করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তার অবস্থার অবনতি হলে রাত নয়টার দিকে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।

গত বছর মে মাসে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ল্যাব এইডে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পরে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালেও চিকিৎসা নেন।

এদিকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ১৯৭০ সালের নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদে ছিলেন অন্যতম কনিষ্ঠ সদস্য। এরপর স্বাধীন দেশের প্রথম সংসদসহ মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।এর আগে সত্তরের নির্বাচনেও তিনি প্রদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর তিনি রেলমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু এক সহকারীর অর্থ কেলেংকারির ঘটনার পর তিনি ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল পদত্যাগ করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে তাকে দফতরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিপরিষদে রাখেন।

সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ১৯৩৯ সালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার আনোয়ারাপুরে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।
নব্বই দশকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর আগে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও একতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

সর্বশেষ ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সম্মেলন তিনি পুনরায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হন। তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডেরও সদস্য। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে তিনি আবারও আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ডক্টরেট। তিনি একটি বেসরকারি সংস্থার শিক্ষাবিভাগে সমন্বয়কারী পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের একমাত্র সন্তান সৌমেন সেনগুপ্ত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং কানাডা থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ব্যবসা করছেন। সৌমেনের স্ত্রী রাখী মৈত্রী সেনগুপ্ত পেশায় চিকিৎসক।

৩ মন্তব্য
  1. Alim Uddin বলেছেন

    সবাই দিনিয়ার মায়া ছেডে একদিন যেতে হবে। তার পর ও মানুষ কেন এত অহংকার করে।

  2. Alim Uddin বলেছেন

    অনেক কিছু বলার ছিল, কিন্তু বলবো না কারন, তার কম্ ফল পাওয়ার গন্তব্যে সে পৌচে গেছে।

  3. Saiful Islam Shilpi বলেছেন

    সহমত…