অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নির্বাচনে হেরে রাস্তার ইট তুলে নিলেন আ’লীগ প্রার্থী..

0

স্বতন্ত্র প্রার্থী তোজাম্মেল হোসেনের কাছে হেরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ ফকির রাস্তায় বিছানো ইট তুলে নিচ্ছেন তিনি। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়নে ভোট পাওয়ার আশ্বাসে কাঁচা রাস্তায় নিজের পকেটের টাকায় ইট বিছিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু সাঈদ ফকির। কিন্তু গত ২৮ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তোজাম্মেল হোসেনের কাছে হেরে যান তিনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় বিছানো ইট তুলে নিচ্ছেন তিনি।

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়নে রাস্তা থেকে ইট অপসারণ করা হচ্ছে।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়নে রাস্তা থেকে ইট অপসারণ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাঈদ ফকির আগে ইউপি মেম্বার ছিলেন। প্রায় পাঁচ মাস আগে ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন গ্রেফতার হলে সাঈদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন।

পরে পঞ্চম দফায় অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সাঈদ।

প্রায় দু’মাস আগে ভোটের আশ্বাসে কামার গ্রামে আমজাদ হোসেনের বাড়ি থেকে শহিদুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২৫০ মিটার কাঁচা রাস্তায় নিজের টাকায় ইট বিছিয়ে দেন।

কিন্তু গত ২৮ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তোজাম্মেল হোসেনের কাছে হেরে যান আওয়ামী লীগ নেতা সাঈদ।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কামার গ্রামের রাস্তার তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন সাঈদ। মঙ্গলবার সরেজমিন কামার গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিকরা রাস্তায় বিছানো ইট তুলছেন। ইটগুলো ট্রাকে রাখা হচ্ছে।

সাঈদের কর্মী আলমগীর হোসেন জানান, সাঈদ প্রায় ৩৫ হাজার টাকা ব্যয়ে রাস্তায় ইট বিছিয়ে ছিলেন। এত বড় উপকারের পর গ্রামবাসীর উচিত ছিল তাকে ভোট দেয়া।

আলমগীরের দাবি, সাঈদ নয়, গ্রামবাসী ভোট না দেয়ায় তারাই নিজ থেকে ইট তুলে ফেরত দিচ্ছেন।

এদিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা-ইউএনও শাহেদ পারভেজ বলেন, ভোটে পরাজিত হয়ে মনের দুঃখে আবু সাঈদ ফকির রাস্তা থেকে ইট তুলে নিয়েছেন। তবে খবর পেয়ে প্রশাসন তা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।

স্থানীয় ইউএনও বলেন, সরকারি রাস্তায় ব্যক্তিগত খরচে কাজ করলেও সেটা সরকারের হয়ে যায়। তাই সাঈদ এভাবে ইট তুলে নিতে পারেন না।