অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

এসপি বাবুল আক্তারের বিচার চেয়ে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন

6

জেলা প্রতিনিধি, খুলনা:

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখছেন নিহত এসআই আকরামের বোন জান্নাত আরা পারভিন রিনি।

ঝিনাইদহে স্ত্রী বনানী বশির বন্নির সাথে পরকীয়ার জের ধরে এসআই আকরামকে হত্যার সাথে এসপি বাবুল আক্তার সরাসরি জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় স্থানীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত এসআই আকরামের বোন এ অভিযোগ করেন। এসময় তার ৫ বোনই উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে হত্যা মামলার বাদী আকরামে বোন জান্নাত আরা পারভীন রিনি বলেন, ঝিনাইদহ সদরের মগরখালী গ্রামের বসির উদ্দিন বাদশার মেয়ে বনানী বসির বন্নির সাথে আমাদের একমাত্র ভাইয়ের বিয়ে হয় ২০০৬ সালের ১৩ জানুয়ারি। বিয়ের পর তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। রিনি অভিযোগ করেন, বিয়ের আগে থেকেই বন্নির সাথে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর তা পরকীয়াতে রূপ নেয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আকরাম ও বন্নির মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। তারই জের ধরে গত ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহে বাড়িতে আসার পথে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া সড়কে শৈলকুপার বড়দাহ নামক স্থানে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের ভাইকে আহত করে ফেলে রাখে। মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। পরের দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৭ দিন পর ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি সে মারা যায়।

বাবুল আক্তার ও বসির বন্নি।

এ ব্যাপারে তার স্ত্রী বন্নি বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় সড়ক দূর্ঘটনা জনিত একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, ময়নাতদন্তের সময় চিকিৎসকরা বলেছিলেন আকরামের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তখনই সন্দেহ হয় এটি হত্যা।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও অভিযোগ করেন, এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে সংশ্লিষ্ট থানার তৎকালের ওসি হাশেম খান তা গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে সে সময়কার ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের কাছে গেলে তিনি তাচ্ছিল্য করে আমাদের ৫ বোনকে অফিস থেকে বের করে দেন। বাধ্য হয়ে বাবুল আক্তার, বন্নি ও তার ফুফাতো ভাই সাদিমুল ইসলাম মুনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়। সে সময় লাশ পুনরায় তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়। সে রিপোর্টও প্রভাবিত করে বাবুল আক্তার।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসআই আকরাম হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক সঠিক বিচার দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বোন রেহানা খাতুন, ফেরদৌস আরা, জান্নাত আরা পারভিন রিনি, শাহনাজা পারভিন রিপা ও শামিমা নাসরিন মুক্তি উপস্থিত ছিলেন।

৬ মন্তব্য
  1. Shakwat Hossin বলেছেন

    নাটক!

  2. HM Asraf বলেছেন

    বাবুলকে মনে হয় পাপে ধরেছে!

  3. Harunar Rashid বলেছেন

    Interesting

  4. Md Harun বলেছেন

    হাইরে বাবুল সাহেব,,, স্ত্রী হারালেন, চাকরি হারালেন,স্বন্মান হারালেন,,,না জানি কোন মায়ের বুক খালি করার কারনে , এই সব পাপের পাইচিত্ব করতে হচ্ছে,,,

  5. Projonmo Freedom বলেছেন

    পাপ তার বাপ কে ও ছাড়ে না। বাবুল যা করেছে তারই কর্ম ফল।