একুশের চেতনায় উজ্জ্বীবিত হয়ে গণতন্ত্র রক্ষা ও বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে পাওয়ার আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার সাকিলা ফারজানা।
তিনি মঙ্গলবার মহান আন্তর্জাাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে হাটহাজারী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
হাটহাজারী বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন হাটহাজারী বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট রেজোয়ান নূর সিদ্দিকী উজ্জ্বল।
সভায় ব্যারিস্টার সাকিলা বলেন, ‘১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙলার তরুণ ছাত্র জনতা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। ছিনিয়ে এনেছিলেন প্রিয় মাতৃভাষাকে। একুশে ফেব্রুয়ারিই বাংলার স্বাধীনতার সূচনালগ্ন ছিল। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে ২১ এর সেই প্রেরণা বাংলাদেমকে স্বাধীন করতে শক্তি যুগিয়েছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিব যখন দেশে বাকশাল কায়েম করেছিল। দেশের সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই অবস্থা থেকে মুক্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয় ৭ নভেম্বর। সিপাহি জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে এদেশের রাখাল রাজা স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করে এনেছিলেন। দিয়েছিলেন রাষ্ট্র ক্ষমতা। জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। দেশে শান্তি ফিরে আসে। জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত সেই বহুদলীয় গণতন্ত্র আজ শেখ হাসিনার গণভবনে আবদ্ধ।
বক্তব্য রাখেন-উপজেলা বিএনপি নেতা হারুন চৌধুরী, গাজী মোরশেদুল আলম, কামাল সওদাগর, হাটহাজারী যুবদলের সভাপতি শাহেদুল আজম শাহেদ, সোহেল রানা, আবদুল্লাহ আল ফারুক, নিজাম উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, আজিম উদ্দিন, নুরুল ইসলাম,চবি ছাত্রদলের সহ সভাপতি নিউটন দত্ত, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম,যুগ্ম সম্পাদক বালাতুন মাউন, শফিকুল ইসলাম মামু, একরাম হোসেন চৌধুরী, রবিউল ইসলাম, ফিরোজ খান, নাজিম মেম্বার, জসীম মেম্বার, কাইয়ূম মেম্বার, এনামুল হক, গিয়াস উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন, আজম উদ্দিন, সৈয়দ টিপু, আবদুল মুবিন, মো.এমদাদ, আলী আজম বেলাল, মো.মামুন, জাহেদুল ইসলাম বাপ্পি, তাজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন আশিকুল্লাহ শাহ, মো.সেকান্দর, জানে আলম, ইরফান চৌধুরী, আরিফ নোমান, রেজাউল করিম, ছাত্রদল নেতা সরোয়ার টিপু, তসিফ মনি, রিপন দে, ইরফাত সৌরভ, মো.জামশেদ, মঈনুদ্দিন টিপু, মো.মোরশেদ, কোরবান আলী, মো.মামুন, তাজুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, ফারুক, মিজান, রায়হান ।
সভা শেষে ব্যারিস্টার সাকিলার নেতৃত্বে প্রভাত ফেরীর মাধ্যমে হাটহাজারী উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।