আ’লীগ নেতাদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দিয়ে নিরপেক্ষতা হারিয়েছে সিইসি-শাহাদাত
চট্টগ্রাম মহানগর বি এন পির সভাপতিও কেন্দ্রীয় বি এন পির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন সিইসি এই প্রথম চট্টগ্রামে এসে স্মার্ট কার্ড বিতরনে শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দলকে প্রাধ্যন্য দিয়ে এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের উপেক্ষা করার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন তিনি একটি রাজনৈতিক দলের এজেন্ডা বাস্থবায়নে লিপ্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের মানুষ আশা করছিল সিইসি চট্টগ্রামের সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দদের উপস্থিতিতে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করবেন কিন্তু তা না করাতে শুধু চট্টগ্রামবাসী নয় পুরো জাতিকে হতাশায় ডুবিয়েছেন।
উল্লেখ্য গতকাল সোমবার সিইসি প্রথম চট্টগ্রামে এসে স্মার্ট কার্ড বিতরন কাজের উদ্বোধন করেন। নগরীর সার্কিট হাউজে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন আওয়মী বুদ্ধিজীবি ড. অনুপম সেনসহ ৫ জন দলীয় নেতাদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দেন।
আজ মঙ্গলবার সংবাদ পত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে ডাক্তার শাহাদাত আরো বলেন, নুরুল হুদার এই ভুমিকার কারণে পুরো জাতি আজ হতবাক। সকল মহল থেকে একটি নিরপেক্ষ অবাধ সুষ্ট যে নির্বাচনের প্রত্যাশা করেছিল তা আজ প্রশ্নবিদ্ব হয়ে গেল।
শাহদাত বলেন, দেশের একটি সর্বচ্ছো প্রতিষ্ঠানে বসে নিরপেক্ষ থাকার শপথ নিয়ে সিইসি নুরুল হুদা আগামি বহুকাংখিত জাতীয় সংসদ নিবার্চন কিভাবে করবেন সেটি জনগনের কাছে দিন দিন পরিস্কার হচ্ছে। তিনি মুখে যতই নিরপেক্ষতার কথা বলে অন্তরে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করবেন সেটিই প্রমাণ হচ্ছে।
বিবৃতিতে ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, ‘সকল দলের অংশগ্রহণের ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা চলছে’ মর্মে যে বক্তব্য সিইসি দিয়েছে যা স্থানীয় পত্রিকার শিরোনামে এসেছে তা সম্পূর্ন মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ সি ই সি নুরুল হুদা জনতার মঞ্চের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন ফলে ২০০৯ সালে আ্ওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুরুষ্ককৃত করে যুগ্ন- সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন এবার তাকে প্রমোশন দিয়ে সিইসি হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। গতকাল সোমবার সিইসি নুরুল হুদা তার বক্তব্যে মাগুরা মার্কা নিবার্চন হবেনা বলে যে ঘোষনা দিয়েছেন তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে গত ২০১৪ সালের ৫ ই জানুয়ারির ভোটার বিহীন ,একতরফা, ইতিহাসের ভোট চুরির সকল রেকর্ড বঙ্গকারী রকিম উদ্দিন মার্কা নির্বাচনের অপকর্ম আড়াল করার চেষ্টা করেছেন।
তিনি মাগুরার একটি আসনের নির্বাচনের কথা বলে ১৫৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত বিকাশ সংসদের কথা না বলে শেখ হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য সাবেক সিইসি রকিব উদ্দিন মেরুদন্ডহীন যে ছিলেন সে ইতিহাসকে তিনি জাতির হৃদয় থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করছেন। ডা. শাহাদাত বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপি সিইসি নিয়োগের আগথেকেই নিবার্চন কমিশনকে শক্তিশালী করে যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এর কথা বলা হয়েছিল সরকার সেটিকে পাশকাটিয়ে তাদের নীলনকশা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে যা চট্টগ্রামে সিইসি স্মার্ট কার্ড বিতরন কার্য ক্রমের মাধ্যমে প্রশাণিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আ্ওয়ামীলিগের সভাপতি প্রবীন রাজনিতিবিদ এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মার্ট কার্ডে নিজের ছঁবি দেখে যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার মাধ্যমে প্রমাণ হয় সিইসি নুরুল হুদার কমিশনের মাধ্যমে আগামি সংসদ নিবার্চন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র রয়েছে। সুতারাং এই সিইসির মাধ্যমে সুষ্ট নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা অবান্তর । অনতিবিলম্বে সকল দলের সাথে আলাপ আলোচনা করে সহায়ক সরকার গঠন করে বহু কাংখিত আগামি জাতিয় সংসদ নির্বাচন অবাদ নিরপেক্ষ ‘‘ আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশী তাকে দেব ’’ এই শ্লোগান বাস্তবায়ন করার তিনি আহব্বান জানান।
বলদ সেই নাকি আর সকল দলের অংশ গ্রহনে নিরেপেক্ষ নির্বাচন করতে যাচ্ছেন
পাগলের প্রলাপ! কেননা এই সিইসি তো আওয়ামীলীগ নেতা, তার নিরপেক্ষতা থাকলেই তো হারানোর কথা আসবে।
Right. ……comments. ……