অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দায়িত্বর গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে ফের বরখাস্ত রাজশাহী ও সিলেটের মেয়র

1
.

আদালতের নির্দেশে দায়িত্বে ফিরতে না ফিরতেই ফের সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন রাজশাহীর মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

স্থানীয় সরকার বিভাগ রবিবার (২ এপ্রিল) এই দুই মেয়রকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করেছে।

এর আগে ২০১৫ সালের ৭ মে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোসাদ্দেক হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তিনি আদালতের রায় নিয়ে রবিবার সিটি কর্পোরেশনে অফিস করতে আসেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে ফের বরখাস্ত করা হলো।

জানাগেছে, আজ অফিস কক্ষের তালা ভেঙে চেয়ারে বসা মাত্রই ফের বরখাস্তের খবর শুনতে হলো রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

.

রবিবার বিকেল ৩টা পাঁচ মিনিটে ফ্যাক্সযোগে আদেশের কপিটি রাসিকে আসে। এর আগে ৩টা দুই মিনিটের দিকে মেয়র বুলবুল তার অফিস কক্ষে নিজের চেয়ারে গিয়ে বসেন। আদেশের খবর শুনে ৩টা ১২ মিনিটের দিকে তিনি বেরিয়ে যান।

এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, যে কারণ দেখিয়ে তাকে বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়েছে, সে কারণে আগেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। উচ্চ আদালতে তিনি দায়িত্ব ফিরে পেয়েছেন। তাই মন্ত্রণালয়ের এ আদেশ তিনি আমলে নিচ্ছেন না এবং আগামীকাল সোমবারও তিনি অফিস করবেন।

মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মেয়র বুলবুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহিত হয়েছে। আর স্থানীয় সরকারের (সিটি করপোরেশন) ২০০৯ সালের আইনে মেয়রের নামে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে গৃহিত হলে তাকে বরখাস্তের বিধান রয়েছে। তাই মেয়র বুলবুলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ৭ মে একই কারণে সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ২০১৬ সালের ১০ মার্চ উচ্চ আদালত তার বরখাস্ত আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন।

গত মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়।

এরপরই রবিবার সকালে দায়িত্ব নিতে নগর ভবনে যান মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। গিয়ে দেখেন, তার কক্ষটি তালাবদ্ধ। এরপর তিনি প্রথমে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরে সচিবের কক্ষে গিয়ে বসে থাকেন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে দুপুরে নগর ভবনে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।

পরে দুপুর ২টার দিকে রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শরীফ উদ্দীন ও সচিব মাহাবুবুর রহমান পুলিশের সহযোগিতায় মেয়রের অফিস কক্ষের দুটি তালা ভাঙেন। এরপর সদ্য বহিস্কৃত মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল তার চেয়ারে গিয়ে বসেছিলেন। এরপরই তাকে বরখাস্তের এই আদেশ শুনতে হলো।

অপরদিকে, ২০১৪ সালের ৭ জানুয়ারি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। তিনিও আদালতের রায়ে রবিবারই সিটি করপোরেশনে অফিস করতে আসেন। কিন্তু মেয়র মোসাদ্দেকের মতো তাকেও পুনরায় বরখাস্ত করে আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

 

১ টি মন্তব্য
  1. AK Azad বলেছেন

    জনগণের সাথে বিশ্বাসঘ