অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

৫ লাখ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী বৈশাখী ভাতা থেকে বঞ্চিত

0
.

বেসরকারী এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীরা এবার বৈশাখী ভাতা পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এতে করে সারাদেশের ৫ লক্ষ বেসকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা ক্ষোভে ফুঁসছে।

বৈশাখী ভাতা ঘোষণা না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ।

শনিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ জানান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মার্চ মাসের বেতন এর সাথে বৈশাখী ভাতা প্রদান করা হলেও বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের ব্যাপারে সরকারের রয়েছে উদাসীনতা।

সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিদের মার্চ মাসের সরকারি বেতন ভাতার অংশ প্রদানের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সার্কুলার জারী করা হয়। কিন্তু এতে বৈশাখী ভাতা প্রদানের ঘোষণা না থাকায়  ১৪ এপ্রিল (১ বৈশাখ) এর পূর্বে সুস্পষ্ঠ ঘোষণা না দিলে কালো ব্যাজ ধারণ করে বৈশাখী উৎসব পালন করবে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারিরা।

শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দ একযুক্ত বিবৃতিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের শিক্ষক কর্মচারিদের উক্ত কর্মসূচির পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ দিনের কর্মবিরতি পালনের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিদাতারা হলেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সভাপতি সৈয়দ লতিকতুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল চৌধুরী, সংগ্রাম কমিটির চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দীন আহমেদ, আহ্বায়ক শিমুল কান্তি মহাজন, চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি নুরুল হক সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কানুনগো, উত্তর জেলার সভাপতি রণজিৎ নাথ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জানে আলম, দক্ষিণ জেলার সভাপতি মো; ওসমান গণি ও সাধারণ সম্পাদক ঝগীর মোহাম্মদ, কক্সবাজার জেলার সভাপতি মুজিবুল হক ও সাধারণ সম্পদক ছৈয়দ করিম। পার্বত্য জেলার সভাপতি রণতোষ মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাঙালির জাতীয় উৎসব ১লা বৈশাখ। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের জন্য বৈশাখী ভাতা ঘোষণা দেয়া হলেও ৫ লক্ষ বেসরকারি কর্মচারিরা আজো বঞ্চিত। শিক্ষার ৯৫ শতাংশ দায়িত্বে নিয়োজিত বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারির পরিবার ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বৈশাখী ভাতা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।