অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

তাবেদার সরকার হঠাতে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে নামুন-মির্জা ফখরুল

0
.

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে জনগনের সহায়তা নিয়ে তাবেদার সরকারকে হঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে আজ বাংলাদেশ তার ন্যায্য দাবি আদায় করতে পারেনি। ভারতের সব চাওয়া মিটিয়ে দিলেও বাংলাদেশের জনগনের নূন্যতম আশাও শেখ হাসিনা পূরণ করতে পারেননি।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রীয় জুলুমের শিকার আমার দেশ পত্রিকা বন্ধের চার বছর’ শীর্ষক এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় আমার দেশ এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ৪৬ বছরে তার সক্ষমতা হারায়নি। কিন্তু আজ স্বাধীনতা হারাতে বসেছে। তাই গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের লড়াইও করতে হবে। লড়াইয়ের মাধ্যমেই সেবাদাস সরকারকে সরিয়ে দেশপ্রেমিক সরকার কায়েম করতে হবে।

.

সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, রুহুল কবীর রিজভী, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ফরহাদ মজহার, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, রুহুল আমীন গাজী, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উননবী খান সোহেল, সাইফুল ইসলাম নীরব, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের জুয়েল, আবদুস শহীদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ইলিয়াস খান, কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিইউজে সভাপতি আবদুল হাই শিকদার। সূচনা বক্তব্য দেন আমার দেশ এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ।

অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার আনহ আখতার হোসেন, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক জেড এন তাহমিদা বেগম, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, বিএফইউজে মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, বাকের হোসাইন প্রমুখ পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বাধীনতা রক্ষা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন সফল করে আমার দেশ আমরা মুক্ত করব। তিনি নেতা কর্মীদের রাজপথের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এ সরকার বিএনপির ২ হাজার নেতা-কর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে। পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী গুম করেছে। ছাত্রদল নেতা নুরুকে তুলে নিয়ে গুলি ও পিটিয়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দিয়েছে। এভাবেই তারা হত্যাকা- চালাচ্ছে। আওয়ামীলীগ আর গনতন্ত্র দুটো যে এক সঙ্গে চলেনা, আওয়ামীলীগের চরিত্র যে বদলায়নি তা তারা আবার প্রমাণ দিয়েছে।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, সবকিছুতেই আজ ভারতের মতামত লাগবে কেন? ৪৬ বছরে বাংলাদেশ কি তার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে? সবকিছুতে আজ ভারতের সক্ষমতা কাজে লাগাতে হবে কেন? অথচ আমাদের জীবনমান তাদের চেয়ে উন্নত। তিনি বলেন, গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে এ সরকারের ১৮টা কমিটি কাজ করছে। সাংবাদিকরা সাংবাদিক হিসেবে আজ তার দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।

ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী বলেন, মাহমুদুর রহমানের প্রতি যে অন্যায় ও অবিচার হয়েছে তার বিচার হতে হবে। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে যে জঙ্গী সমস্যা তার মূল কারণ ভারত। তারা বলছে ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে ভিসা দেবে। তাহলে একাত্তরে কি ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিল?

তিনি বলেন, বিএনপি সঠিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে দেশে অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে।
অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশের স্বার্থে তরুণদের মাঠে নামতে হবে, আর চুপচাপ থাকা যাবে না। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নতুন উদ্যোগে জেড়ে উঠতে হবে।

ফরহাদ মজহার বলেন, দেশের বর্তমান সংকটের সমাধান চাইলে শেখ হাসিনাকে সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই করতে হবে।

রুহুল কবীর রিজভী বলেন, মাহমুদুর রহমান যা লিখেছেন আজ তা অক্ষরে অক্ষরে সত্যে পরিণত হচ্ছে।
হাবিবউন নবী খান সোহেল হাজারটা চুক্তি করলেও আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে দেয়া হবে না।

বক্তারা অবিলম্বে আমারদেশ ছাপাখানা খুলে দিয়ে পত্রিকা প্রকাশের দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা আমারদেশ পড়তে চাই, দেশের প্রকৃত খবর জানতে চাই। তারা আমার দেশের পাঁচ শতাধিক সাংবাদিক কর্মচারী যাতে কাজের সুযোগ পান তার জন্যও আমার দেশ প্রকাশ হওয়া জরুরী বলে উল্লেখ করেন।