অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আন্দোলনের মাধ্যমেই নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে

0
.

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করে সেই সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচন হবে ধানের শীষের জোয়ারের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মধ্যদিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ।

তিনি আজ শনিবার বিকেলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল রাঙামাটি জেলা কমিটির তৃণমূল বিএনপি’র প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপিকে গত ১০টি বছর আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্রকারি চক্র ও দেশীয় দালালেরা জোর করে নানা ধরনের কারচুপি করে ক্ষমতার বাইরে রেখেছে, কিন্তু আর বোধহয় বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখা সম্ভব হবেনা।

.

সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ আরো বলেন, ফ্যাসিবাদী এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। নিজেদের মধ্যে বিরোধ ভুলে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে আগামী আন্দোলনে সকলকে রাজপথে থাকতে হবে।

এরশাদের সামরিক শাসন ও মঈন উদ্দিন-মাসুদ উদ্দিনের ছদ্মবেশি সামরিক শাসনের কথা উল্লেখ করে শওকত মাহমুদ বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে নেই, কোনো রাজনৈতিক নেতা দুইটি সামরিক শাসনকে আপোষহীন আন্দোলনের মধ্যদিয়ে পরাজিত করেছেন। একমাত্র বেগম খালেদা জিয়াই এটি সম্ভব করেছেন। টানা ৩৫ বছর ধরে একজন জনপ্রিয় নেতা দেশের শীর্ষ জনপ্রিয়তায় অবস্থান করছেন যা আজ পর্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে খুবই বিরল। বেগম খালেদা জিয়াই একমাত্র দুই দুই বার দুটি সামরিক সরকারের সাথে কোনো প্রকার আপোষ ছাড়াই ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হন, কখনো বিরোধী দলীয় নেত্রী হন কিংবা সংসদে থাকেন বা না থাকেন সেটা বড় কথা না, তারপরও তিনি বাংলাদেশের এক নাম্বার শীর্ষ জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে জনগণের হৃদয়ে আছেন।

.

শওকত মাহমুদ আরো বলেন, জালেম যারা জুলুম করেছে, তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবেই। বিএনপির আন্দোলনে যারা স্বজন হারিয়েছেন, এবং আন্দোলন করতে গিয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, তাদের সকলকেই মূল্যায়ন করা হবে।
রাঙামাটির বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিশিষ্ট এই নেতা আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জানেন রাঙামাটি জেলা আন্দোলনের ক্ষেত্রে এবং বিএনপির প্রতি সমর্থনের ক্ষেত্রে একটি শীর্ষ জেলা হিসেবে পরিচিত। পাহাড়ের তৃণমুল পর্যায়ে প্রত্যেকটি মানুষকে শুধু এই বার্তাটি আপনারা পৌছে দেন যে, আন্দোলন আসছে এবং আন্দোলনের মধ্যদিয়ে যে নির্বাচন আসবে সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধি তথা জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবারো প্রধানমন্ত্রী হবেন।

.

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয় সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারুন্যের অহংকার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে আসন্ন আন্দোলনকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলেবে  রাঙামাটিবাসী।

এর আগে শনিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতারা রাঙামাটিতে এসে হোটেল সুফিয়ায় অবস্থানকালে তৃণমুল দলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে হোটেলের সামনে। পরে কেন্দ্রীয় নেতা শওকত মাহমুদের সাথে সাক্ষাত করলে তিনি এই বিষয়টি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিরসনে পদক্ষেপ নিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমকে নির্দেশনা দেন।