অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অস্ত্র উদ্ধার সাজানো, বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী আওয়ামী লীগ নেতার

4

বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন-চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন।

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে অস্ত্র উদ্ধার ও আসামী ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাকে পুলিশের সাজানো ঘটনা উল্লেখ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সারোয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেলাল হোসেন।

তিনি আজ রবিবার (৭ মে) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বোয়ালখালী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানান। তিনি জানান, সাদা পোশাকধারীরা বাড়ির প্রতি রুম, দরজা জানলা, আলমিরা ভেঙ্গে ও পুকুরে নেমে বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাত দুইটা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে ঘরের ব্যবহার্য কয়েকটি দা, কোরবানের ঈদে কেনা কয়েকটি ছুরি ও ১টি লাইসেন্সকৃত পাখিমারার এয়ারগান নিয়ে যায়।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, আমার ভাই সাইফুদ্দিন বাপ্পী আইনের উর্দ্ধে নয়। সে দোষ করলে তাকে আইনে সোর্পদ হতে হবে। তবে বিনা দোষে হয়রানি ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে অস্ত্র উদ্ধার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবারের ভাইয়েরা সকলে পৃথক পৃথকভাবে চট্টগ্রাম শহরে বসবাস করছি। মো. সাইফুদ্দিন বাপ্পী গ্রামের বাড়িতে থাকে। ঘটনার দিন রাত ১০টার দিক পাশের বাড়ীর এক মেজবান অনুষ্ঠানে আসার পথে এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসে জানতে পারলাম মেজবান খেয়ে যাওয়ার সময় সিএমপি’র সাদা পোশাকধারী লোকজনের সাথে মেজবানে আগত এলাকার লোকজনের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। সাদা পোশাকধারীদের কাছে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা আছে কি না জানতে চাইলে তারা সাইফুদ্দিন বাপ্পীকে টানা হেঁচড়া শুরু করে। এতে এলাকাবাসী বহিরাগত লোক ভেবে প্রতিরোধে এগিয়ে আসে।’

পুলিশের দাবী এসব অস্ত্র চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার কর হয়েছে।

সাফুদ্দিন বাপ্পীতে ছিনিয়ে নেয়ার ব্যাপারে অবগত নন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), এসআই খলিল ও তাদের সংগীয় ফোর্সসহ বাড়িতে পৌঁছি। এসময় সাদা পোশাকধারীরা বাড়ির প্রতি রুম, দরজা জানলা, আলমিরা ভেঙ্গে ও পুকুরে নেমে বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাত দুইটা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে ঘরের ব্যবহার্য কয়েকটি দা, কোরবানের ঈদে কেনা কয়েকটি ছুরি ও ১টি লাইসেন্সকৃত পাখিমারার এয়ারগান নিয়ে যায়।’

সাইফুদ্দিন বাপ্পীকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নগরীতে গ্রেফতার করার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাপ্পী দক্ষিণ জেলার ও থানা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের সাথে গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত ছিলো বলে দাবী করেন।

এছাড়া বাপ্পীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরো মামলা থাকার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, সাইফুদ্দিন বাপ্পীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। রাজনৈতিক মামলা ছিল ওগুলো। যা বর্তমানে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।

ওয়ান ইলেভেনের সময় চেয়ারম্যান অস্ত্রসহ গ্রেফতার হওয়ার বিষয়ে বলেন, ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে অস্ত্র দিয়ে আমাকে ফাঁসানো হয়েছিলো। যা এখন নিষ্পত্তি হয়ে গেছে।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হাসান রুবেল ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে জানান, ‘চেয়ারম্যানের বাড়িতে ডাকাত পড়েছে খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এসময় সাদা পোশাকধারীরা মাইক্রোবাস থেকে আনা কয়েকটি ছোরা, একটি এয়ারগান ও দুইটি পিস্তল দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করতে বললে অপারগতা প্রকাশ করে চলে যায়।’

তবে সাদা কাগজে মামলার ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ করে ইউপি সদস্য মো. দিদারুল আলম বলেন, ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলাম। ঘটনাস্থল থেকে এতগুলো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। এটি পরিকল্পিত ঘটনা। বাপ্পী মেজবান অনুষ্ঠানেই ছিল। যদি বাপ্পীকে বায়েজিদ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে থাকে তো থানার সিসি ফুটেজ নিলে সত্য ঘটনা উদঘাটন হবে।

ইউপি চেয়ারম্যান তার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদে ছবি প্রকাশিত হওয়ায় তিনি ও তার পরিবারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এছাড়া ছবি সম্বলিত মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দাবি করে সারোয়াতলী ইউপি সদস্যগণ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

সম্মেলনে শাকপুরা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলতাজ মিয়া, ইউপি সদস্য মুছা আমেরী, মুজিবুর রহমান, সুরেশ চৌধুরী, আবদুল জলিল, আব্বাস উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

৪ মন্তব্য
  1. Alim Uddin বলেছেন

    আসলে ঘটনা টা কি???

  2. Abdul Ahad Shakil Patowary বলেছেন

    তারমানে সব অস্র উদ্ধার সাজানো নাকি শুধু আওয়ামীলীগ এর গুলা?

  3. Abdul Ahad Shakil Patowary বলেছেন

    তারমানে সব অস্র উদ্ধার সাজানো নাকি শুধু আওয়ামীলীগ এর গুলা?

  4. Abdul Ahad Shakil Patowary বলেছেন

    তারমানে সব অস্র উদ্ধার সাজানো নাকি শুধু আওয়ামীলীগ এর গুলা?