সুপ্রিমকোর্ট থেকে গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি অপসারণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।
আজ ২৬ মে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান ও মহাসচিব আল্লামা এম এ মতিন একযুক্ত বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের এ দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে অন্য ধর্মের মূর্তি স্থাপন একটি জঘন্য ও ধর্মীয় উস্কানীমূলক কর্মকান্ড, যা আমাদের বাঙ্গালী সংস্কৃতিও নয়। তাই দেশের অধিকাংশ মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ মূর্তি অপসারণের করে প্রধানমন্ত্রী সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য-গ্রীক মূর্তি স্থাপনের পর থেকে ইসলামী ফ্রন্ট শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করে আসছে এবং একযোগে সারাদেশের প্রত্যেক জেলা থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেন। সুত্রঃ প্রেস বিজ্ঞপ্তি
পূর্বের স্থান থেকে ১০০ গজ দূরে এনেক্স কোর্ট বিল্ডিং এর সামনে স্থাপিত হচ্ছে দেবী। যেই লাউ, সেই কদু।
আপনাদের কি লজ্জা শরম বলতে কিছু ই নেই ।
আশির দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তানের তৎকালীন ধর্মীয় নিরপেক্ষতার মোড়ক থেকে একটু একটু সরে আসা সরকার , মোহাম্মদ নজিবুল্লাহর সরকার ভোল পাল্টাতে পাল্টাতে বর্তমান আওয়ামী লীগের মতো ধর্মের টুপি পরে ফেলেছিল। সেদিন তাদের রাজনৈতিক চাতুরী ছিল যে, ধর্মের টুপি মাথায় থাকলে উগ্র তালেবানদেরকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে। আফগানিস্তানকে একটা রাষ্ট্র ধর্ম দেয়া হলো, আইন সংশোধন করে সবজায়গায় ইসলাম ধর্মের নামে উগ্রবাদীতার লেবাস পরানো হলো। কিন্তু রক্ষা হয় নাই , আরো রক্তপাত হলো আফগানিস্তানে।
১৯৯৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তালেবানী জঙ্গিরা নজিবুল্লাহ কে জাতিসংঘের অফিস থেকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে প্রথমে তার অণ্ডকোষ কাটে, এরপর গাড়ির পিছনে বেঁধে সারা কাবুল শহরের রাস্তায় ছেঁচাতে ছেঁচাতে তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে ।
আজ আওয়ামী লীগের ধারণা – জামাত-হেফাজতের দাবি মেনে নিলেই তাদেরকে আওয়ামী লীগের বিজয় হবে, বিপুল ভোট পড়বে আওয়ামী লীগের নামে! তাদের জন্যে এই আফগানিস্তান এক মহা রিমাইন্ডার। ইতিহাসের শিক্ষা শুধু নিষ্ঠুরতার’ই না,নিরহ জনগণেকে রক্তাক্ত করারও ।