সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি অপসারণে মহান আল্লাহ তাআলার শোকরিয়া ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং এনেক্স ভবনের সামনে গ্রীক দেবির মূর্তীটি পূনঃস্থাপনের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে
হেফাজতে ইসলাম।
আজ (২৭ মে) শনিবার বাদ আছর হাটহাজারী ডাক বাংলো চত্বরে হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী শাখার উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের ্জেউলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হাটহাজারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও হেফাজত নেতা মাওলানা নাছির উদ্দীন মুনির, উত্তর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর মুহাম্মদ ইদরিস, মাওলানা ইমরান সিকদার, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা এরশাদ সিকদার, মুহাম্মদ ফুরকান সিকদার, মাওলানা হাবীবুল্লাহ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা গত ২৫ মে মধ্যরাতের পর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে গ্রীক দেবি থেমিসের মূর্তি অপসারিত হওয়ায় মহান আল্লাহর প্রতি শোকরিয়া জ্ঞাপন করে বলেন, হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে দেশের সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রতিবাদ ও হৃদয়ের আকুতি উপলব্ধি করে মূর্তিটি অপসারণ করায় সরকারকেও আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তারা বলেন, আমরা শুরু থেকেই বার বার বলে আসছি যে, সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা কতিপয় নাস্তিক্যবাদি ভুল পরামর্শ দিয়ে সরকারকে তৌহিদী জনতার প্রতিপক্ষ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এই অপশক্তিকে ঘাড় থেকে সরাতে পারলে ইসলাম বিদ্বেষী ভাবমূর্তি থেকে সরকার বেরিয়ে আসতে সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি।
বক্তারা আরো বলেন, গ্রীক দেবীকে সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে অপসারণের পর কিছু ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদের সহায়ক কোন কোন মিডিয়ার পরিবেশিত খবরে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, উৎপাটিত থেমিস দেবীকে নাকি আদালতের এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হবে।
এ পর্যায়ে বক্তারা হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই যে, মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদা বিধ্বংসী এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিরোধী এই মূর্তিকে চিরতরে এই দেশ থেকে পরিত্যাগ করতে হবে। যে মূর্তিকে জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্থাপিত হয়েছিল, তাকে বাংলাদেশের কোথাও কোনভাবেই স্থান দেয়া যাবে না এবং এটা দেশের আলেম সমাজ ও কোটি কোটি তৌহিদী জনতা মেনে নেবে না।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল হাটহাজারী ডাক-বাংলো চত্বর থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক ও কাছারী সড়ক হয়ে হাটহাজারী কলেজ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে হেজাত কর্মীদেরকে মূর্তিটি স্থায়ীভাবে নিশ্চিহ্ণ করার দাবী জানিয়ে মুহূর্মুহু শ্লোগান দিতে দেখা যায়।
সোনার এই বাংলাদেশ,
তেঁতুল শফি করলো শেষ।
আল্লামা শফির মত আল্লাহর হক্কানী গোলাম গুলো এই বাংলার জমিনে আছে বলেই ঐ আসমান-জমিনের মালিক এই বাংলাদেশকে পৃথিবীতে টিকে আছে।
একজন তেতুল সফির কত ক্ষমতা ! এবার চিন্তা করুন।
জামাত-হেফাজতের মতো শয়তানের সাথে মানুষ থাকে না, মানুষের বিবেক আছে বলেই আল্লাহ বাংলাদেশ সৃষ্টি করে দিয়েছেন ।
কার সাথে কারা আছে সেটাতো দেখাই যাচ্ছে।