মিতু হত্যাকাণ্ড: জঙ্গি বুলবুল ৫ দিনের রিমাণ্ডে
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার জট খুলতে কারাবন্দি জেএমবি সদস্য ফুয়াদ ওরফে বুলবুলকে দফা ৫ দিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম হারুনুর রশীদের আদালত এ রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুলবুলকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন আদালতে।
সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নগরীর বাকলিয়া থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় (২৯/৫/১৫) বুলবুলকে শ্যোন অ্যারেস্টও দেখানোর পর এ মামলায় তাকে রিমাণ্ড চাওয়া হয়। মূলত গত ৫ জুন সংঘটিত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় জেএমবির সম্পৃক্ততা যাচাই করা হবে বলে জানা গেছে।
পিবিআই সুত্র জানায়, গত মে মাসে বাবুল আক্তারসহ অভিযানকারী দলকে হত্যা করতে একটি চিঠি দেয় কারাবন্দী বুলবুল। যেটি গাইবান্ধার জেএমবি আস্তানা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেটি পুলিশ সদর দপ্তর হয়ে সিএমপিতে আসলেও নিরাপত্তাহীনতায় থাকা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ে এক মিনিটের কমান্ডো হামলায় ছুরিকাঘাত ও গুলিতে খুন হন। এরপর থেকে এটিকে জঙ্গি হামলা হিসেবে বলে আসছে পুলিশ।
উল্লেখ, গত বছর ৫ অক্টোবর নগরীর কর্ণফুলী থানার খোয়াজ নগর এলাকা থেকে জঙ্গী সদস্য বুলবুলসহ ৫ জঙ্গী সদস্যকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেণেড ও বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।
গ্রেফতারকৃতরা হলো মো. জাবেদ (২৪), ফুয়াদ ওরফে মো.বুলবুল (২৬), সুজন ওরফে বাবু (২৫), মাহবুব (৩৫) এবং সোহেল ওরফে কাজল (৩৫)। খোয়াজ নগরের এই অভিযানের সময় জঙ্গীরা গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বাবুল আক্তারকে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু এদিন তিনি প্রাণে রক্ষা পান। গ্রেফতারকৃত ৫ জঙ্গীর মধ্যে জঙ্গী নেতা জাবেদ পরদিন ভোরে পুলিশের অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার অভিযানে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হয়।