অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রাঙামাটিতে ভুমিধসে উদ্ধার কার্যক্রমে ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকা প্রশংসনীয়

1

১৩ জুন পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে সংঘঠিত ভয়াবহ প্রাকৃতিক দূর্যোগে সৃষ্ঠ ভুমিধ্বাসের পর জেলার বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার কার্যক্রমে ফায়ার ব্রিগেডের উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের নিরলস প্রচেষ্ঠা প্রশংসিত হয়েছে সর্বত্র। ফায়ার সার্ভিস রাঙামাটি ও কাপ্তাই স্টেশনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী দলের অভিজ্ঞ সদস্যরা অংশ নেন এইসব উদ্ধার কাজে। দূর্যোগের পর মূহুর্ত থেকে টানা তিনদিন ভমিধসে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালন করে দেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ এই উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সোমবার ভারী বর্ষনে ভুমিধ্বসের শুরুতেই রাঙামাটি সেদরের ভেদভেদী এরাকার যুব উন্নয়ন কার্যালয় সংলগ্ন পাহাড়ে প্রথম উদ্ধার অীবয়ান শুরু করে দমকল বাহিনী। সেখানে ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি আহত একাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এর পর থেক্ শহরের একাধিক স্থানে চলমান থাকে তাদের উদ্ধার কার্যক্রম। দূর্ঘনটনাস্থল থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধারের পাশাপাশি আহতদের দ্রুততার সাথে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ ও করে তারা।

.

ফায়ার ব্রিগেডের পরিচালক অপারেশন এ কে এম শাকিল নেওয়াজ এর নেতৃত্বে ফায়ার ব্রিগেডের উদ্ধার কাজের দক্ষ উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল এই উদ্দার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে ১৪৫ জন ফায়ার ব্রিগেড কর্মী উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিেেয়ছে। এর মধ্যে রাঙামাটি শহরে ১২০ জন এবং কাপ্তাই উপজেলায় ২৫ জন উদ্ধার কর্মী কাজ করছে।
এছাড়া চট্টগ্রামের উপ সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ৬০ সদসের বিশেষ টিম রাঙাসাটিতে উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।

.

বৃহস্পতিবার রাঙামাটির ৫টি স্থানে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই দিন উদ্ধারকারী দল মানিকছড়ি ভুমিধ্বসএর ধুর্ঘটনাস্থল থেকে নিখোজ সেনা সৈনিক আজিজ সহ আরো ২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।

উদ্ধার কার্যক্রমের তত্বাবধানে থাকা ফায়ার ব্রিগেডের পরিচালক (অপারেশন) শাকিল নেওয়াজ জানান দূর্যোগের পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যনত টানা তিনদিন উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা। রাঙামাটি, চট্টগ্রা, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ২২০ জন প্রশিক্ষিত উদ্ধার কর্মী এই কার্যক্রমে যুক্ত আছেন। ফায়ার ব্রিগেডের উদ্ধারকারী দল ৫টি ধাপে এই উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, সার্চিং, রেসকিউ, পরিবহন, মনিটরিং এবং প্রশাসনিক পর্যায়ে ৫ টি ধাপে সমন্বয় সাধন করে এই উদ্ধার অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

.

তিনি জানান উদ্ধার কাজে ফায়ার ব্রিগেডের অত্যাধূনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে এর ফলে এই উদ্ধার কার্যক্রমে দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা হচ্ছে। উদ্ধারকারী দল রাঙামাটির বিভিন্ন স্থান থেকে এ পর্যন্ত ৩৭জনের মৃতদেহ উদ্ধার এবং অসংখ্য আহত লোকজনকে উদ্ধার করেছে। ভুমিধ্বসে নিখোজ শেষ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা পর্যন্ত উদ্ধার অবিয়ান চলবে বলে তিনি জানান।

ফায়ার ব্রিগেডের সহকারী পরিচালক সুভাষ কান্তি নাথ, চট্টগ্রামের সহকারী পরিবচালক পরিমল চন্দ্র কুন্ড, উপ-সহকারী পরিবচালক জসিম উদ্দিন, রাঙামাটির সহকারী পরিচালক গোলাম মোস্তফা, উপ-সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম, চট্টগ্রামের সিনিয়র স্টেশন অফিসার অতিশ চাকমা, নিউটন দাশ উদ্ধারকারী দলের সাথে কাজ করছেন।

১ টি মন্তব্য
  1. Bahar Uddin বলেছেন

    উদ্ধার কাজে ফায়ার কর্মীদের কাজ প্রশংসনীয়।