অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে ১৫ লাখ ইয়াবার চালান জব্দ, ৫ মিয়ানমরের নাগরিকসহ গ্রেফতার ১২

1
.

পাচারকালে চট্টগ্রামে ইয়াবার একটি বৃহৎ চালান আটক করেছে র‌্যাব। এসময় গ্রেফতার করা হয়েছে ১২ জন মাদক পাচারকারীকে। উদ্ধার করা ইয়াবার পরিমাণ ১৫ লাখ পিস বলে জানায় র‌্যাব। আজ শনিবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের পতেঙ্গা সী বিচ এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ এ ইয়াবার চালান জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত ১২ জনের মধ্যে ৫ জন রয়েছে মিয়ানমরের নাগরিক।

.

গ্রেফতারকৃতরা হলো-নজির আহমেদ (৫৫) @ দুল্লা মাঝি (মাঝি), মোঃ হাসেম (১৯), ইঞ্জিনম্যান, মোঃ হাসেম (১৯), ইঞ্জিনম্যান,খায়রুল আমিন (২০), মোঃ জাফর (৩০), মোঃ খোকন (২৫), মোঃ আনিসুর রহমান (১৮)। ৫ মিয়ানমার নাগরিক হলো-মোঃ আব্দুল খালেক (২০),মোঃ সাদ্দাম হোসেন (১৯), মোঃ নুর আলম (২৫), মোঃ সেলিম @ মলয় (২০)।

র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাউদ্দিন আহমেদ এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭ এর একটি দল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গর এলাকায় (পতেঙ্গা সী বিচ এলাকা) অভিযান চালিয়ে  ‘মায়ের দোয়া’ নামক একটি দ্রুত গতি সম্পন্ন ট্রলারকে আটক করে। ট্রলারটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দিকে আসছিল।

এ সময় ১৫ লাখ পিস ইয়াবাসহ ১২ জন আটক কর হয়। আটকদের মধ্যে ৫জন মিয়ানমারের নাগরিকও রয়েছে।

এদিকে  এ নিয়ে দুপুরে পতেঙ্গাস্থ র‌্যাব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের বলা হয়, গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, উক্ত ইয়াবার মালিক পটিয়ার উপজেলার মো. ফারুক (৪২), যিনি মাদক জগতে বাইট্টা ফারুক ওরফে বিচ্চু ফারুক নামে পরিচিত।

জব্দকৃত ‘মায়ের দোয়া’ ট্রলারটির মালিক বান্দরবানের ছাদেক (২২) এর নামে রেজিষ্ট্রি থাকলেও মূলত এর প্রকৃত মালিক ফারুক এবং ট্রলারটির মাঝি নজির আহমেদ। ইতোপূর্বে তারা এই ট্রলারে করে মোট ৫ বার ইয়াবার চালান আনতে মায়ানমার যায়। এর মধ্যে তিনবারে ১০ লক্ষ করে সর্বমোট ৩০ লক্ষ পিস ইয়াবার চালান নিয়ে আসে এবং বাকি দুবার প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ইয়াবা না নিয়ে ফেরত আসে।

সর্বশেষে ৬ষ্ঠবার মায়ানমার থেকে ১৫ লক্ষ পিস ইয়াবা পাচারকালে গতকাল ২৩ জুন সময় র‌্যাব-৭ এর হাতে ধরা পড়ে। র‌্যাব জানায়, ইয়াবার মালিক মোঃ ফারুককে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় তার নামে মাদকের মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

১ টি মন্তব্য
  1. Mamun Ahmeed বলেছেন

    প্রশাসনের কতিপয় দূ’নীতিবাজ ক’মক’তাদের কারনে ইয়াবার চালান ধরা যাচেছনা। মাঝে মধে্্য -১০০ চালানের ভিতরে একটা ধরা হচেছ। এইটা এখন সবাই বুঝে। “আই ওয়াস”