অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চলন্ত বাসে চুমু-ধর্ষণ, বিজেপি নেতা গ্রেফতার

0
.

চলন্ত বাসে এক নারীকে জোরপূর্বক চুমু খাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ধর্ষণের অভিযোগে ভারতের মহারাষ্ট্রে বিজেপির এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া বিজেপির নেতার নাম রবীন্দ্র ববনঠাড়ে। তিনি মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলার বিজেপি নেতা ও নাগভিদের একটি স্কুলের সুপারভাইজার।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকালে রবীন্দ্রকে মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলার ব্রহ্মপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে ৬ জুলাই পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

.

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৭ জুন গঢ়চিরোলি-গামী বাসে নিজের ১৯ বছরের প্রাক্তন ছাত্রীকে জোরপূর্বক চুমু খাওয়ার ও ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৪৮ বছরের ববনঠাড়ের অপকর্মের ঘটনা বাসের পিছনে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। বাসের চালক ও খালাসি ওই ফুটেজ নিজেদের ফোনে রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেয়। এরপরই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরই ওই নারী রবীন্দ্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশের কাছে দায়ের এফআইআর অনুসারে, ববনঠাড়ে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নির্যাতিতাকে নিগ্রহ করেছেন। এর আগে নাগপুর থেকে নাগভিদ আসার পথে তার গাড়িতে নাভারখেড়ের কাছে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর গত ২৭ জুন ফের নির্যাতিতাকে নাগপুরে একটি হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে ডেকে আনেন এবং বাসে চড়েন। ভিওয়াপুর ও নাগভিদের মাঝে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

অভিযোগ, বাওয়ানথাড়ে নির্যাতিতাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন। যদিও তিনি বিবাহিত। নির্যাতিতা দরিদ্র পরিবারের মেয়ে।

সূত্রের খবর, বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল বছর খানেক আগে। সাম্প্রতিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করেছে। তাকে দল থেকেও বরখাস্তও করা হতে পারে।

পুলিশ জানিয়েছে, বাসের সামনের দিকে সামান্য কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। নির্যাতিতাকে নিয়ে বাসের পিছনের দিকের আসনে বসেছিলেন ববনঠাড়ে। নির্যাতিতা জানালার দিতে বসেছিলেন। সেই সময় ওই তরুণীকে শারীরিক নিগ্রহ করেন বাওয়ানথাড়ে। বাসের কেউ প্রথমে টের না পেলেও পরে খালাসির চোখে ঘটনাটি ধরা পড়ে। বাওয়ানথাড়ে দাবি করেন, তরুণীটি অসুস্থ।