অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

স্ত্রীকে সাংবাদিক বানিয়ে অবৈধভাবে নেয়া তিন প্লট মামলা রীট খারিজ

0
.

স্ত্রীকে সাংবাদিক বানিয়ে অবৈধভাবে নেয়া তিনটি প্লটের মালিকানা ফিরে পেয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড।

সমিতির মালিকানাধীন শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং প্রকল্পে ১৫ কাঠা জমি সমিতির বহিস্কৃত সদস্য শহীদ উল আলম, নির্মল চন্দ্র দাশ এবং নিজাম উদ্দিন তাদের স্ত্রীকে সাংবাদিক দেখিয়ে অবৈধ ভাবে বরাদ্ধ নিয়ে ছিলেন বলে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা কমিটির পরিচালক কাজী মহসীন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় গৃহিত এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লি. বিষয়টি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। এ প্রেক্ষিতে জেলা সমবায় অফিস তদন্ত করে সমবায় আইনের ৮৩(২) ধারায় ২০০৪ সালে ০৯ ডিসেম্বর অসাংবাদিক তপতী দাশ,স্বামী নির্মল চন্দ্র দাশ, তসলিমা খানম- স্বামী শহীদ উল আলম এবং হোসনে আরা বেগম,স্বামী নিজাম উদ্দিন আহমদকে অবৈধ ভাবে দেয়া তিনটি প্লটের বরাদ্দ বাতিল করে।

আদেশে বাতিল করা প্লট তিনটি ৩০ দিনের মধ্যে নিজ খরচে সমিতিকে ফেরত দেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সমিতির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মাহবুব উল আলমসহ ৫ জনের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।

প্লটের বরাদ্দ বাতিল করে দেয়া সমবায় অফিসের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে মাহবুব উল আলম গং ২০০৫ সালে হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন (রীট পিটিশন নং ১৩৫/২০০৫) দায়ের করেন। দীর্ঘ আইনি লড়ায়ের পর হাইকোর্টের বিচারপতি এম রেজাউল হক এবং বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ রীটটি খারিজ করে দেন।

গতকাল শনিবার হাইকোর্টের আদেশের কপি সোসাইটির কাছে পৌঁছে। মামলায় সমিতির পক্ষে ডেপুটি এর্টণী জেনারেল মো: খুরশিদ আলম এবং সহকারী এটর্ণী জেনারেল নাসরিন পারভিন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। আদালত তাঁর পর্যবেক্ষনে বলেন, মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রধান বিচারপতি মামলাটি হাইকোর্টের কার্য তালিকায় শীর্ষে অর্ন্তুভুক্ত করেন। কিন্তু দফায় দফায় আদালত থেকে তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও রীটকারীর পক্ষে কোন আইনজীবি আদালতে উপস্থিত হননি। এছাড়া মামলাটির কোন মেরিট না থাকা এবং বাদী পক্ষের আইনজীবি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রীট আবেদনটি খারিজ করা হয়।

হাইকোর্টে রীটটি খারিজ হয়ে যাওয়ায় জেলা সমবায় অফিসের ২০০৪ সালে দেয়া আদেশ (আদেশ নং ২৬২২/১১) বহাল হলো। এর ফলে শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং প্রকল্পে অবৈধভাবে নেয়া তিন প্লটের মালিকানা ফিরে পেল চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটি লি.। চট্টগ্রাম সাংবাদিক কো অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান স্বপন মল্লিক, সেক্রেটারী হাসান ফেরদৌস এক বিবৃতিতে আদালতে রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, আদালতের এই রায়ের মধ্যে দিয়ে আবারো ’সত্য’ প্রতিষ্ঠিত হল। শীঘ্রই রায় বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও জানান তারা। সুত্রঃ প্রেস বিজ্ঞপ্তি