অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আওয়ামীলীগ দেশে জংলি শাসন কায়েম করেছে

0
.

বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয় সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন আওয়ামীলীগ দেশে জংলি শাসন কায়েম করেছে। তাদের দুঃশাসনের কারণে মানবতা আজ বিপন্ন, দেশের মানুষ অসহায়। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। মা-বোনেরা আজ নিরাপদে পথ চলতে পারেনা। দেশে ধর্ষনের তুফান চলছে। ষাট বছরের বৃদ্ধা থেকে শুরু করে তিন বছরের শিশু কেউ রেহায় পাচ্ছেনা ধর্ষকদের হাত থেকে। ঘর থেকে ধরে নিয়ে খুন করা হচ্ছে,গুম করা হচ্ছে। কোন বিচার নেই। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত প্রিয় মার্তৃভূমি বাংলাদেশ এখন খুনি আর ধর্ষকদের উল্লাস ভূমিতে পরিণত হয়েছে।

আজ শনিবার চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বিভিন্নস্থানে গণসংযোগ ও বিএনপির সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এসব বলেন।এসময় অন্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা সারোয়ার হোসেন, মনসুর চৌধুরী, ডাঃ হোসেন, মাহবুবুল আলম, শফিউল আজম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাংবাদিক নুরুল ইসলাম রিপন, হাজী মাহবুবুল আলম মেম্বার, হানিফ মেম্বার,নুরুল আলম দফাদার, মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশীদ, যুবদল নেতা আজম খান,বেলাল বিন নুর, নাসির উদ্দিন শিকদার, মফিজুর রহমান সুমন, হেলাল উদ্দিন, ছাত্রদল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সহ সভাপতি মোরশেদ হাজারী, মহসিন কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক ইয়াকুব সিফাত, যুগ্ম আহবায়ক শফিউল আলম শফি, ফটিকছড়ি ছাত্রদল নেতা মঈন উল্লাহ উজ্জল, ওসমান তাহের সম্রাট, হাবিব শিকদার রুবেল, ফটিকছড়ি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুগ্ম আহবায়ক আল মামুন,পৌর ছাত্রদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার মুন্না,আকরাম চৌধুরী, শেখ মাহফুজ উল্লাহ,সায়মুনুল করিম,আবুল কালাম, মোঃ ইলিয়াস, মুহাম্মদ ইকবাল, রাব্বি কায়েম, শাহাবুদ্দিন, এনামুল হক, রহমত উল্লা, জামাল খান, মোহাম্মদ হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নাজিম উদ্দিন, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

.

আওয়ামীলী আবারো জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চায় উল্লেখ করে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনে অবৈধ ক্ষমতা দখলের মতো গভীর ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে সরকার। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে আবারও গোল দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু এবার সেটা আর হতে দেয়া হবেনা। জনগন ফাউল খেলার জন্য আওয়ামীলীগকে এবার লালকার্ড দেখিয়ে তাড়িয়ে দেবে।

সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, তারেক রহমান তরুণ প্রজন্মের আইকনে পরিণত হয়েছেন। দেশের মানুষ তারেক রহমানের মাঝে তাদের প্রিয় নেতা শহীদ জিয়ার প্রতিচ্ছবি দেখতে পান। তাই তারেক রহমানকে এত ভয় আওয়ামী লীগ সরকারের। তারা বুঝে গেছে তারেক রহমানের রাজনীতির কাছে তারা ধরাশায়ি হবেই তাই তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছিল। আজও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে দেশে আসতে দিচ্ছে না। অথচ কোন আদালত তারেক জিয়ার দুর্নীতির প্রমাণ পায়নি। তিনি কোনো দুর্নীতি করেন নি। তিনি ধারাবাহিক চক্রান্তের শিকার।

তিনি বলেন, যারা এদেশে গণতন্ত্রের কথা বলে এবং জনগণের পক্ষে থাকে স্বৈরাচারী শাসকরা তাদের ওপর আঘাত আনে। তারেক রহমানও স্বৈরাচারী আক্রমণের শিকার। আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসাথে যায় না। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করে। এদলটি জন্মগতভাবেই ফ্যাসিস্ট।জনগণের সাথে রাষ্ট্রের যে চুক্তি তা আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। তারা সুপরিকল্পিতভাবে মানুষের আই-ওয়াশ করে ক্ষমতায় টিকে আছে। কিন্তু এভাবে বেশিদিন টিকতে পারবে না।

বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়কে কখনো মেনে নেয়নি জানিয়ে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, এধরণের অন্যায় করে সাময়িক টিকে থাকা যায়, কিন্তু পতন হবেই। শক্তি সঞ্চয় করে অন্যায়কে পরাজিত করতে হব, ফিরিয়ে আনতে হবে গনতন্ত্র, ফিরিয়ে আনতে হবে ভোটাধিকার।