গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশে মৃত্যু পর্যন্ত গুলি চালিয়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কথা বলা হয়েছে।
রবিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় ঘোষণা করেন।
একই মামলায় একজনের যাবজ্জীবন ও তিনজনের ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া তিনজনকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় খালাস পেয়েছেন ১০ জন।
এর আগে, মামলায় ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১০ আগস্ট রায়ের এদিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ২২ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া সফর উপলক্ষে কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় একটি শক্তিশালী বোমা পাওয়া যায়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরো একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় সেদিনই কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন একটি মামলা করেন।
২০০১ সালের ৮ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান গোপালগঞ্জ আদালতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের সদস্য মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১০ সালে মামলাটি ঢাকার ২নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।