অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

‘জীব হত্যা মহাপাপ’ বানী শুনিয়ে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছেন ডাইনী সুচি

0

২৪ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলার পর থেকে সীমান্তবতী রাখাইন মুন্ডু সহ কয়েকটি এলাকায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির উপর নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত কয়েক হাজার নারী শিশুদের হত্যা ও নির্যাতন চালিয়েছে মিয়ানমসার সাময়িক জান্তা। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের বাড়ীঘর।

সে কারণে প্রাণ নিয়ে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। খাদ্য চিকিৎসার বাসস্থানের অভাবে চরম অমানবিকভাবে দিন কাটতে এসব মুসলিম জনগোষ্ঠির।

এ অবস্থার অবসান এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির উপর নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধেরর দাবী এবং মগি সুচি সরকারে ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিদিন বিভিন্ন সংগঠন মিছিল মিটিং মানববন্ধন পালন করে আসছে। নীচে কয়েকটি সংগঠনের কর্মসূচি তুলে ধরা হল।

.

মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মানববন্ধনঃ বাংলাদেশ তথ্য ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির উদ্যেগে আরাকানে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা নির্যাতন ও রোহিঙ্গাদের বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দিয়ে নারকীয় তান্ডব সৃষ্টির প্রতিবাদের এবং হত্যা নির্যাতন বন্ধে মায়ানমারের বিরুদ্ধে জাতি সংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অবরোধ প্রয়োগের দাবি জানিয়ে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ রবিবার বিকাল ৫ টায় ডিসি হিল-বৌদ্ধ মন্দির চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক বাণী উচ্চারণ করে রোহিঙ্গাদের নির্মুল করার উৎসবে এবং জীব হত্যা মহাপাপ বানী শুনিয়ে মানুষ হত্যার মহোৎসবে মেতেছে জঙ্গি মায়ানমার সরকার ও ডাইনী সুচি। বক্তারা অবিলম্বে বিশ্ব বেশ্যা সুচিকে দেওয়া নোবেল শান্তি পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য নোবেল কমিটির প্রতি জোর দাবি জানিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মায়ানমারে মধ্যযুগীয় তান্ডবের প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
জেলা কমিটির সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কার্যকরী সভাপতি লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান সৌরভ, সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মদ মধু, এম এ কাশেম, যুগ্ম সম্পাদক নুরে আলমগীর চৌধুরী, হাজী চান্দু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আমেনা বাতেন মৌসুমী। উক্ত মানববন্ধনে একাত্বতা পোষন করে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ সাজিদ ইকবাল, এ কে জাহেদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান মিলন, মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, আবু তাহের জাবেদ, আব্দুল ওহাব, মিজানুর রহমান, হারুন উর রশিদ মান্না, হাজী মুহাম্মদ সেলিম, শামসুদ্দীন রুবেল, ডা. মীর হোসেন মাসুম, নারী নেত্রী সৈয়দা সাহানা আরা বেগম, সমিয়া সালাম, রেশমা জাফর, উম্মে হাবিবা ইকু, মনোয়ারা বেগম মুন্নি, মোহছেনা বেগম, পুষ্প এবং রাশেদুল ইসলাম, মোঃ আবু তাহের, ললিত দেব নাথ, তিতাস প্রমুখ।

.

বিক্ষোভ সমাবেশে শিয়া মুসলিম নেতৃবৃন্দ: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর বর্বর নির্যাতন ও গণহত্যা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে চট্টগ্রামের শিয়া মুসলিমরা। রবিবার বাদে আসর নগরীর হালিশহর বি-ব্লকের এস-ক্লাব মোড়ে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে শিয়া ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন -চিটাগং।
‘মুসলিমস আর অলসো হিউমেন’, ‘রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিন’ ইত্যাদি দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে কয়েকশ শিয়া নরনারী মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধন চলাকালীন বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয় শত শত সুন্নি মুসলিম ও বিবেকবান ভিন্ন ধর্মাবলম্বীও।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারের প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ রাখাইন রাজ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়ানকদের যে নোংরা খেলা চলছে, তার নির্মম বলি হচ্ছে নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলিমরা। মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে মুসলিম নিধনে অস্ত্র দিচ্ছে ফিলিস্তিনিদের রক্তে হাত রাঙানো ইসরায়েল। অন্যদিকে ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করছে গুজরাটে মুসলিম হত্যায় অভিযুক্ত মোদীর সরকার। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নির্দেশনায় মানবতার বুলি আওড়ানো জাতিসংঘ কার্যত নীরব। মুসলিমদের মাঝে অনৈক্য তৈরির ওয়াহাবি চক্রান্ত ফিলিস্তিন, বসনিয়া, কাশ্মীর, মিয়ানমারসহ সারা বিশ্বে মুসলমানদের নির্যাতিত হবার পথ তৈরি করছে।’
রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের উদারতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, ‘অসহায় রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের জন্য ওয়াজিব। তবে মানবিক অনুভূতি কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশসহ এশিয়ায় জঙ্গিবাদ বিস্তারের মাধ্যমে জায়নবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী ‘ইসলামোফেবিয়া পলিটিক্স’ যাতে সফল না হয়, সেজন্য রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখা জরুরি।’
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আমজাদ হোসাইন, শিয়া নেত্রী সাইয়্যেদা ফাতিমা রাইসা, ইমাম রেজা (আ.) কালচারাল অ্যান্ড এডুকেশনাল সেন্টারের সদস্য মেহেদি হোসাইন চৌধুরী, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ’র সহ-সম্পাদক জুবায়ের জুয়েল, ইমাম আলী (আ.) পাঠাগার -হালিশহরের সদস্য মোহাম্মাদ আলী, হায়দার হোসাইন, মো. জাহাঙ্গীর, মো. আলমগীর, মো. পারভেজ, মো. আব্বাস,
আয়োজনকারী সংগঠন শিয়া ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন -চিটাগং এর সভাপতি সাইয়্যেদ আলি রেজা রেজাভী, সদস্য আজিম রুদবী, মো. রাব্বি, জহিরুল আলম জুয়েল, মোহাম্মাদ ইমরান, মোহাম্মাদ ইরফান, আরিফ হোসাইন, জাকির হোসাইন প্রমুখ।

.

বৌদ্ধ সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দের মানবন্ধন ও বিবৃতিঃ বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় অত্যন্ত উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গারা নির্মম নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার শিকার হচ্ছে এবং এতে করে রোহিঙ্গারা তাদের বাসস্থান ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে। অনেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর সম্মুখীন হচ্ছে। নিরাপরাধ শিশু, মহিলা এবং নিরীহ মানুষের জীবন অনিশ্চিত অবস্থায় পতিত হচ্ছে। আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারী বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ রোহিঙ্গাদের উপর এহেন নারকীয় হত্যা, বর্বর ও নির্মম আচারণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রোহিঙ্গাদের উপর এহেন অত্যাচার-নিপীড়ন অনতিবিলম্বে বন্ধ করার জন্য মিয়ানমার সরকার তথা নোবেল শান্তি বিজয়ী অংশান সুচি’র দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘঠিত এই নিষ্ঠুরতা, বর্বরতা, বুদ্ধের মহান মানবতাবাদী আদর্শ বিরোধী একটি তৎপরতা। বাংলাদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপ্রিয়। তারা শান্তিতে, সহাবস্থানে ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। তাই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের নিকট বাংলাদেশের হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে বিনষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।
মিয়ানমার সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিবের হস্তক্ষেপ ও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং একই সঙ্গে বিশ্বের সকল সম্প্রদায় তথা বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। স্বাক্ষরকারী বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দরা হলেন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া, মহাসচিব সুদীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের যুগ্ম মহাসচিব প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি অজিতানন্দ মহাথের, মহাসচিব এস. লোকজিত থের, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি সুনন্দপ্রিয় মহাথের, মহাসচিব বোধিমিত্র মহাথের, বাংলাদেশ বুড্ডিস ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রকৌশলী মৃগাংক প্রসাদ বড়ুয়া, মহাসচিব তুষার কান্তি বড়ুয়া, বুদ্ধজ্যোতি আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি বড়ুয়া, মহাসচিব উদয়ন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৌশলী পরিতোষ কুমার বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক অঞ্চল কুমার তালুকদার, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি যুব এর সভাপতি কর আইনজীবি জয়শান্ত বিকাশ বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ যুব এর সভাপতি পুষ্পেন বড়ুয়া, কাজল, সাধারণ সম্পাদক ড. সুব্রত বরণ বড়–য়া, অনোমা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি অধ্যাপক বাদল বরণ বড়ুয়া, মহাসচিব আশীষ বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৌশলী সীমান্ত বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক সজীব বড়ুয়া, ডায়মন্ড, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ডক্টরস্ এসোসিয়েশন এর সভাপতি ডা. প্রীতি বড়ুয়া, মহাসচিব ডা. কল্যাণ বড়ুয়া, সেন্টার অব এক্সেলেন্স ইন বুড্ডিস্ট স্ট্যাডিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. দীপংকর শ্রীজ্ঞান বড়ুয়া, ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার বড়ুয়া, আনন্দ, প্রান্তিক ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্টের যুগ্ম মহাসচিব লোকপ্রিয় বড়ুয়া, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট লিডারস ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মিথুন বড়ুয়া, রিস্সো কোসেকাই এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের ব্রাঞ্চ মিনিস্টার কাঞ্চন বড়ুয়া, ত্রিরত্ম সংঘের সভাপতি অভি বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক কমল বড়ুয়া প্রমুখ। এদিকে মায়ানমারে অব্যাহত শিশুহত্যা, নারী নির্যাতন এবং মানবতাবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদে শনিবার প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বৌদ্ধ নেতৃবৃন্দ বলেন, পৃথিবীর সকল ধর্মে মানবতার জয় গান গেয়েছে। কোন ধর্মেই মানুষ হত্যা, শিশু ও নারী নির্যাতন, অন্যের ধন-সম্পদ লুণ্ঠন করার অধিকার দেয়নি। সকল মানবজাতি ভিন্ন ধর্মের হলেও সকলে একই সূত্রে গাঁথা। সকলেই মানবজাতি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যুগে যুগে ধর্ম যাজকরা ধর্মের বাণী ও শান্তির বার্তা প্রচার করেছেন। মানবতার জয়গান ও বিশ্বের শান্তি একই সূত্রে জড়িত। তাই বিশ্বময় শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে অশান্তি পরিহার করে মায়ানমারের অব্যাহত গণধিকৃত মানবতাবিরোধী কর্মকা-, শিশু-নারী নির্যাতন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নৃশংস নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও সংষ্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান, বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষুর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্ব যখন উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে ঠিক তখনি বিশ্বের কুচক্রি মহলের ইন্ধনে মায়ানমারে স্বার্থান্বেষী চক্র শান্তিময় বিশ্বে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর মানবতাবিরোধী অমানবিক নির্যাতন ও নারী-শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে।

.

বিভাগীয় কমিশনারকে নাগরিক অধিকার স্মারকলিপিঃ চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধ কর ও বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিরোধ করার দাবিতে শীর্ষক স্মারকলিপি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রুহুল আমীনকে প্রদানকালে বক্তারা বলেছেন ধর্ম বড় বিবেচ্য বিষয় নয়। মানুষ হত্যা সভ্যতার বড় অপরাধ উল্লেখ করে বক্তারা বলেন মিয়ামারের গত ২৫ আগষ্ট থেকে সেখানকার রোহিঙ্গা গণহত্যা করে মিয়ানমার সরকার নিজেদের মানবতার শত্রু রূপে পরিচয় দিয়েছে। বক্তরা বলেন অবিলম্বে মিয়ানমারে মানুষ হত্যার বন্ধের দাবি জাানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন মানবিক চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার এক লাখের অধিক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। বক্তারা রোহিঙ্গা গণহত্যার জন্য মিয়ানমারে অং সান সূচীর ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিচারের দাবিতে জাতিসংঘ ও অর্ন্তজাতিক আদালতের প্রতি জোর দাবি জানান। এছাড়া বক্তারা বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী আগ্রাসন রুখে দেওয়ার জন্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করার আহবান জানান।
স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি লায়ন একে জাহেদ চৌধুরী, কার্যকরী সভাপতি আলি আহমেদ শাহিন. সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সৈয়দ দিদার আশরাফী, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খান, মু্িক্তযোদ্ধা এস এম আবু তাহের, মুক্তিযোদ্ধা মিনাজুর রহমান মিলন, প্রণবরাজ বড়–য়া, জাকির হোসেন, পারভিন আক্তার চৌধুরী, রোজী চৌধুরী, মোহাম্মদ এজাহারুল হক, সেমিল উদ্দিন ডিপলু, আনিস আহমেদ খোকন, রিমন মুহুরী, রূপালী খাতুন, হারুনুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম রাজু, ইউনুস মিয়া, মোহাম্মদ আলমগীর প্রমুখ।

.

যুবকল্যাণ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনঃ বিশ্ব মানবতা যখন ডুকরি ডুকরি কাঁদছে ঠিক তখনি আর্থিক সহায়তা ও খাবার দিয়ে মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন বাংলাদেশ যুবকল্যাণ মানবাধিকার ফাউন্ডেশন। রোহিঙ্গা মুসলমানেরা দীর্ঘদিন যাবৎ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একটু বাঁচার আশায় অবস্থান নেন পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশের সীমান্তে। যেখানে তাদের জীবন যাচ্ছে কখনো অনাহারে আবার কখনো অর্ধহারে। মানবেতর জীবন জাপন করতে গিয়ে শিশু,নারী ও বয়স্করা হয়ে পড়ছে অসুস্থ। তাদের অনেকে চিকিৎসা পাচ্ছে আবার অনেকে বিনা চিকিৎসায় পড়ে আছে বিশাল নীল আকাশের নীচে। আবার অনেকে ভর্তি হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক)। আজ তাদের চিকিৎসা সহায়তা ও খাবার প্রদান করতে বাংলাদেশ যুব কল্যাণ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের একদল প্রতিনিধি যান হাসপাতালে। প্রতিনিধি দলে উপস্তিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট ধৃতিমান আইচ, সাধারণ সম্পাদক ডা: আর,কে,রুবেল, সংগঠনের সহ-সভাপতি এডভোকেট নীলু কান্তি দাশ নীলমণি, অধ্যক্ষ মাওলানা এম সোলাইমান কাসেমী, দোলন কান্তি দাশ, আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন,অধ্যাপক রমিজ আহমদ,ডা: রাজীব চক্রবর্তী, মো: এয়াকুব,ডা: বরুন কুমার আচার্য্য, ডা: মো: এনায়েত, এডভোকেট তৌহিদুর রহমান তুহিন, আবুল কালাম, মো: নাছির উদ্দিন,মোহাম্মদ হাসান প্রমুখ।

.

চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের মানববন্ধন ঃ
চট্টগ্রাম সাহিত্য পাঠচক্রের উদ্যোগে মায়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গা হত্যা, নির্যাতন ও নিষ্ঠুর অত্যাচার বন্ধে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা সংগঠনের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে নগরীর চেরাগী চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংহতি প্রকাশ করেন রিহাব চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান আব্দুল কৈইয়ুম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল লতিফ টিপু, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মোঃ কামাল উদ্দীন, রিহাব চট্টগ্রামের কো চেয়ারম্যান দিদারুল হক, অধ্যাপক মুসা কলিম উল্লাহ, মাষ্টার আবুল হোসেন, এড. ঝীশু কৃষ্ণ রক্ষিত, মিজানুর রহমান, শেষরুপ দাশ বহ্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন, অধ্যক্ষ রতন দাশ গুপ্ত, সংগঠনের সহ সভাপতি ডাঃ জামাল উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল, সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, প্রনব রাজ বড়ুয়া, স. ম. জিয়াউর রহমান, প্রভাষক সুমন দত্ত, ফরিদুল আলম, প্রকৌশলী প্রমোতোষ বড়ুয়া, নোমান উল্লাহ বাহার, জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক বিপ্লব দাশগুপ্ত, দেবপ্রিয় বড়ুয়া দেবু, সালাউদ্দিন লিটন, সন্তোষ বড়ুয়া, জে.বি.এস. আনন্দবোধি ভিক্ষু, সুবাস বড়ুয়া, ডাঃ লিটন বড়ুয়া, মোঃ লোকমান, রোটারিয়ান মোবিনুল হক, শাহেদ আলম তানভীর, আবরার বিন শফি, মো. ইমতিয়াজ, ফারুক আজম, মো. রাশেদ, মোহাম্মদ আলী, মোশারফ হোসেন রুমু প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন পৃথিবীর ইতিহাসে এ নিষ্ঠুর ও জঘন্যতম মানবহত্যা, নির্যাতন বন্ধে বিশ্বের শীর্ষনেতারা এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এ আমনবিক ও নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্বের সকল মানবাধিকার সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানান। আর বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ এদেশে আশ্রয় নিয়েছে ।