বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরের চিত্র হলো লুটেরা ধনিক শ্রেনী, ভূমিদস্যু, চোরাকারবারী, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী, ফ্যাসিস্ট গণবিরোধী শক্তির কবলে বাংলাদেশের সমাজ-রাজনীতি-অর্থনীতি-স্বাস্থ্য-শিক্ষা হুমকির মুখোমুখী।
দুর্বৃত্তায়ন পুরো দেশকে গ্রাস করে আছে। নারী-নির্যাতন, ধর্ষণ দিন দিন বাড়ছে। জন-বিরোধী শক্তির নিয়ন্ত্রণে রাজনীতি। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারলে দেশের সঙ্কট আরো বাড়বে। লুঠেরা শাসক গোষ্ঠি বিদ্যমান সংকটের প্রকৃত পৃষ্টপোষক, সংকট সমাধানে তার অক্ষম পরিবর্তনের কোন বিলল্প নেই।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর সিটি গেইট এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে পার্টি চট্টগ্রাম বিভাগীয় যুব কমিউনিস্ট ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের শততম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি- সিপিবি কেন্দ্র ঘোষিত কর্মর্সূচির অংশ হিসেবে এ যুব কমিউনিস্ট ক্যাম্প আয়োজন করা হয়।
সভায় সিপিবি সভাপতি আরো বলেন, যুবকের স্বাভাবিক কাজ হলো অন্যায় অপরাধের প্রতিবাদ করা, প্রতিরোধ করা, বিদ্রোহ করা। বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ ইতিহাস খ্যাত। বীর প্রসবিনী চট্টগ্রামের এই যুব সমাজকে এই অস্বস্তিকর অন্যায় পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব করেছে সাহসী যুব সমাজ, ফ্যাসিবাদ রুখেছে সোভিয়েত রেডগার্ড।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক মৃণাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েক, রুহিন হোসেন প্রিন্স, জেলা সাধারণ সম্পাদক অশোক সাহা। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল নবী, নোয়াখালীর সভাপতি শহীদ উদ্দিন বাবুল, ফেনী জেলার সাধারণ সম্পাদক মহিবুল হক রাসেল, কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, রাঙামাটির সম্পাদক অনুপম বড়ুয়া প্রমুখ।
সমাবেশের পুর্বে জাতীয় পতাকা ও পার্টি পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে যুব ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়। –প্রেসবিজ্ঞপ্তি