অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

গ্রেফতারকৃত ১২৩জন জঙ্গি হলে বাকি হাজার হাজার মানুষ কারা ?

0
BNP---
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র ইফতার মাহফিলে মোনাজাতর মোরশেদ খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌ:, জাফরুল ইসলাম চৌ: সরওয়ার জামাল নিজাম, ডাক্তার শাহাদাত হোসেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মনজুর মোর্শেদ খান বলেন, সরকার সাড়াশি অভিযানের নামে সাধারণ জনগণকে হয়রানি করা হয়েছে। হাজার হাজার লোককে গ্রেফতার করলেও ১২৩জন নাকি জঙ্গি পাওয়া গেছে। তাহলে বাকি গ্রেফতারকৃতরা কারা?

তিনি শুক্রবার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কথা বলেন।

জি ই সি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় মোরশেদ খান আরো বলেন, ৫ জানুয়ারী একতরফা নির্বাচনে ১৫৩জন বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়ে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এই নির্বাচন দেশে বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। মোর্শেদ খান আরো বলেন, চট্টগ্রাম হচ্ছে রাজনিতির সুতিকাগার। এই চট্টগ্রাম থেকে সবসময় আন্দোলন সংগ্রাম সফল হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা মনে করেছে দেশের মানুষ রাজনিতি থেকে অবসর নিয়েছে। তাই তাঁরা দেশের মানুষের উপর রাজতন্ত্র-স্বৈরতন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই দেশের মানুষ গণতন্ত্রমনা, রাজনিতিমনা। দেশের মানুষ রাজনিতি থেকে অবসর নেয়নি, নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। এ দেশের মানুষ ভোট দিতে ভালোবাসে। বিগত দিনে আওয়ামীলীগ দীর্ঘদিন যেভাবে ক্ষমতার বাইরে ছিলো, এবার যদি ক্ষমতার বাইরে যাই তাহলে চিরজীবন ফিরে আসতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, আইনের শাসন, জনগনের ভোটাধিকার, মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে গুম হত্যা নিপিড়ন নির্যাতনের বিনিময়ে উন্নয়নের একটি পথ দেখাবে। কিন্তু দেশের মানুষ সেটি গ্রহণ করবে না। এই পর্যন্ত দেশে সিটি কর্পোরেশন হতে শুরু ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, তাতে জনগণ দেখেছে আওয়ামীলীগ প্রশাসনকে ব্যবহার করে কিভাবে ভোট ডাকাতি করেছে। জনাব খসরু আরো বলেন, আওয়ামীলীগ দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকেও আওয়ামী অর্থনিতিতে পরিণত করেছে। তাঁদের কিছু মানুষ শত শত কোটি টাকা লুট-পাট করছে। দেশের আইনের ব্যবস্থাও দুরকম। শেখ হাসিনার জন্য এক রকম, বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আরেক রকম। শেখ হাসিনার ১১টি দুর্নিতি মামলা প্রত্যাহার হয়ে যায় আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার সাড়াশি অভিযানের নামে হাজার হাজার নিরিহ জনগণকে গ্রেফতার করেছে, গ্রেফতার করা হয়েছে আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে। তাঁরা নিপীড়ন নির্যাতনের মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখল রাখতে চায়।

অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, আবুল হাসেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, বিএনপি নেতা এস এম ফজলুল হক, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি সামশুল আলম, আবু সুফিয়ান, সাবেক সাংসদ সরোওয়ার জামান নিজাম, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান, এলডিপির সভাপতি সলিমুল্লাহ, ড্যাব নেতা ডাঃ খুরশিদ জামিল, বিশিষ্ট সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচি, মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ, জোট নেতা ওসমান গনি, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, মাওলানা আবদুর রহমান চৌধুরী, আনোয়ার সাদেক।

উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা সাবেক কমিশনার সামশুল আলম, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, আলহাজ্ব এম এ আজিজ, হারুন জামান, ইসকান্দর মির্জা, শফিকুর রহমান স্বপন, শাহ আলম, মনোয়ারা বেগম মনি, ফাতেমা বাদশা, জেলি চৌধুরী, কাউন্সিলর আবুল হাসেম, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন লিপু, ডাঃ কামরুন নাহার দস্তগীর, সামশুল হকসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভা পরিচালনা করেন, বিএনপি নেতা এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন ও সাহেদ বক্স।