অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম সিটির গৃহকর বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনড় মেয়র নাছির

1
.

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ধার্য্যকৃত গৃহকর বাড়ানোর সিদ্ধান্তে অনড় থেকে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ২৭ শতাংশের জায়গায় আমরা চসিকে ১৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স রেইট ধার্য করেছি নগরবাসীর প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে।
তিনি বলেন-“আমি আইন তৈরি করিনি যে আমি সংশোধন করতে পারব”

আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নগর ভবনের কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে ‘সিটি কর্পোরেশনের অধিক্ষেত্রে ইমারত ও জমির পঞ্চবার্ষিক মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে’ সংবাদ সম্মেলনে মেয়র এসব কথা বলেন ।

মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেন, অপপ্রচার ও গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে গৃহ করের এ্যাসেসমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করুন। তিনি বলেন, ২৯৫ কোটি ২৬ লাখ টাকা দেনা নিয়ে দায়িত্বভার গ্রহন করি। গত ২ বছরে ১৫৭ কোটি টাকার দেনা পরিশোধ করেছি।

মেয়র বলেন-চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়ের চেয়ে ব্যয়ের পরিমাণ অনেক বেশী। নির্বাচিত মেয়র হিসেবে আইন ও জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নন বলে মন্তব্য করেন মেয়র নাছির।
গৃহকর অ্যাসেসমেন্ট নিয়ে সাবেক দুই মেয়র, ২৩ কাউন্সিলরের চিঠি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠনের প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মেয়র বলেন, পরিস্থিতি, প্রেক্ষাপট, দৃষ্টিভঙ্গি, ব্যক্তিগত রুচি পরিবর্তন হয়েছে। দেশে ক্রমে আইনের প্রয়োগ ও প্রতিফলন হচ্ছে। আইন কথা বলা শুরু করেছে। আমরা কেউ আইন ও জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নই।

তিনি বলেন, ২৭ শতাংশের জায়গায় আমরা চসিকে ১৭ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স, রেইট ধার্য করেছি নগরবাসীর প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে। আমি আইন তৈরি করিনি যে আমি সংশোধন করতে পারব?

সমন্বয় অত্যন্ত জরুরি, সময়োপযোগী দাবি উল্লেখ্য করে আ জ ম নাছির বলেন, বিগত সময় যারা মেয়র ছিলেন তারা বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন। মেয়রের চেয়ারে যারাই বসেছেন সবাই একই কথা বলেছেন।

মেয়র বলেন-এক সময় আইন ছিল কাগজে কলমে। আর এখন আইনের প্রয়োগ আছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। তৃনমুলের রাজনীতি করে এ পর্যায়ে এসেছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, গৃহকর বাড়ানো নিজের কোন ইচ্ছায় নয়। সরকারের নীতি অনুযায়ী তিনি কাজ করছেন বলে জানান। নাছির আরো বলেন, আমি নিজের খেয়াল খুশিমত কাজ করছিনা যে এতে করে দলের ক্ষতি হবে।

কর বাড়ালেই ভোট কমে না। এটি একটি অপপ্রচার উল্লেখ্য করে তিনি বলেন-একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ইসমাইল বালি, শৈবাল দাশ সুমন, আবিদা আজাদ প্রমুখ।

১ টি মন্তব্য
  1. Shahed Azim বলেছেন

    আমরাও চাই সঠিকভাবে যথাযথ এসেসমেন্ট করে ১৭% টেক্স নেয়া হোক।