অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সোনালী ব্যাংকের দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ, ব্যবসায়ীর ১৪ বছর কারাদণ্ড

1
.

জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে দেড়কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলার রায়ে চট্টগ্রামের একটি আদালত এক ব্যবসায়ীকে ১৪ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত এ ব্যবসায়ীর নাম রতন কুমার বিশ্বাস। মামলায় অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ৩ আসামীকে বেখসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

আজ রবিবার ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মীর রহুল আমিন এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত লবণ ব্যবসায়ী রতন কুমার বিশ্বাস কক্সবাজারের মেসার্স আজমীর সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

খালাস পাওয়া ৩ আসামীরা হলেন- রতনের ব্যসায়িক সহযোগী মুজিবুদ্দৌলা, সোনালী ব্যাংকের কক্সবাজার সদর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক গোলাম রহমান ও সিনিয়র অফিসার প্রকাশ কান্তি চৌধুরী।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কক্সবাজারের লবণ ব্যবসায়ী রতন কুমার বিশ্বাস নিজের জায়গার ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে ১৯৯৮ সালে কক্সবাজার সোনালী ব্যাংক থেকে দুই দফায় এক কোটি ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার ও আট লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তা আর পরিশোধ করেননি। পরবর্তীতে দেখা যায় দাখিল করা জমির দলিল ভূয়া।

এ ঘটনায় পরস্পরের যোগসাজশে সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০০ সালের ২৯ জুলাই চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়। দুর্নীতি দমন ‍ব্যুরোর পরিদর্শক মোবিনুল ইসলাম বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন।

দুটি মামলারই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় ২০০৪ সালের ৩১ জুলাই। অভিযোগ গঠন করা হয় ২০০৬ সালের ৩১ জুলাই। মামলা দুটিতে ১৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

দুই মামলার মধ্যে এক কোটি ৩৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সাত বছর কারাদণ্ড ও সমপরিমাণ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের দণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক।

আর আট লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাত বছরের দণ্ডের পাশাপাশি সমপরিমাণ অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

 

১ টি মন্তব্য
  1. Anwar Sadek বলেছেন

    ভাই যারা ৪ হাজার কোটী টাকা আত্বসাত করে তাদের কত বচ্ছর হওয়া উচিৎ