অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

তারেক রহমানের চিন্তা ও কর্ম কৌশল দেখে আ’ লীগ আতঙ্কগ্রস্থ

2
.

তারেক রহমানের সুদূর প্রসারী চিন্তা ও কর্ম কৌশল দেখে আওয়ামী লীগ আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা।

আজ ১৯ নভেম্বর রবিবার বিকালে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি নেতারা আরো বলেন- তারেক রহমানের শরীরে শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার রক্ত প্রবাহিত। এজন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সেদিন বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতেই তাকে গ্রেফতার করে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছিলো। তিনি বলেন, ১/১১’র সেই বেনিফিশিয়ারীরা আবারো রাষ্ট্রক্ষমতায় বসে তারেক রহমানকে স্তব্দ করার ষড়যন্ত্র করছে। তারা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গোটা পরিবারকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

নাসিমন ভবনস্থ দলীয় দলীয় কার্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনা প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান  তারেক রহমান পারিবারিক উত্তরাধিকার হিসেবে রাজনীতিতে আসেননি। তিনি তার যোগ্যতা বলে রাজনীতিতে এসেছেন। তিনি বলেন, রাজনীতিতে এসেই তিনি পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করে গ্রামেগঞ্জে, পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। দলকে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করতে দেশব্যাপী দলের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে গণসংযোগ ও ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন করে তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে গভীর সেতুবন্ধন তৈরি করেছিলেন।

,

তিনি রাজনীতিতে অংশগ্রহণের পরই তার জনপ্রিয়তা ও জাতীয়তাবাদী শক্তির জাগরণে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ভীত হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে। সরকার তারেক রহমানের জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বলেই একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে স্তব্দ করার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু কোনো ষড়যন্ত্রই তারেক রহমানকে রুখতে পারবে না।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপিন সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান। তিনি বলেন- তারেক রহমানের একটাই দোষ সেটি হলো তিনি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সন্তান। তিনি দেশকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসুরি হিসেবে তিনি দেশকে স্বনিভর করে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সরকার ১/- টাকার দুর্নীতিও প্রমাণ করতে পারেনি। তাই আওয়ামীলীগ সরকারকে জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রিয় বিএনপির সদস্য শামসুল আলম বলেন, সরকারের দুর্নীতি ও অপকর্ম দামাচাপা দিতেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এ সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

সভার শুরুতে তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনায় দলীয় কার্যালয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মুহাম্মদ মিয়া ভোলা, হারুন জামান, সৈয়দ আহমদ, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, মোঃ ইকবাল চৌধুরী, এস.এম. আবুল ফয়েজ, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, যুগ্ম সম্পাদক এস.এম. সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, মোঃ শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আর.ইউ.চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হাজী বাবুল হক,  শামসুল আলম, জহির আহমদ, ইব্রাহিম চৌধুরী, মোঃ আলী মিঠু, মাহমুদ আলম পান্না, এম.আই. চৌধুরী মামুন, হামিদ হোসেন, আব্দুল নবী প্রিন্স, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, আব্দুল বাতেন, আব্দুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইদ্রিস আলী, আজাদ বাঙ্গালি, আরিফ মেহেদী, আবু মুছা, আবুল খায়ের মেম্বার, আবতাবুর রহমান শাহীন, হাজী মোঃ বাদশা মিয়া, নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, জমির উদ্দিন নাহিদ, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকবৃন্দ, মোঃ আকতার খান প্রমুখ।

২ মন্তব্য
  1. সহিদুল ইসলাম বলেছেন

    সেরা জোক অব দ্যা ইয়ার 😛

  2. সহিদুল ইসলাম বলেছেন

    সেরা জোক অব দ্যা ইয়ার 😛