নগর জুড়ে চলছে লাখো মানুষের ধর্মীয় উৎসব ‘জশনে জুলুস’
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালন উপলক্ষে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহত্তম ধর্মীয় শোভাযাত্রা জশনে জুলুস। আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর ষোলশহরে জামেয়া আহম্মদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে নানা বয়সী লাখো মানুষের অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ জুলুস বের হয়।
পাকিস্তান থেকে আগত ধর্মীয় নেতা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ’র নেতৃত্বে প্রতি বছরের এ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বমানবতার মুক্তিরদূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর পৃথিবীতে শুভাগমনের এ দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণভাবে উদযাপন করতেই চট্টগ্রাম আনজুমান ট্রাস্ট এ জুলুসের আয়োজন করে। হামদ, না’ত ও দরুদ সালাম পড়ে জুলুসের এ শোভাযাত্রাটি নগরীর মুরাদপুর ষোলশহরস্থ আলমগীর খানকা এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে শুরু হয়ে বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জারপুল, কাতালগঞ্জ হয়ে অলিখাঁ মসজিদ চকবাজার, প্যারেড ময়দানের পূর্বপাশ, চন্দনপুরা, সিরাজুদ্দৌলা সড়ক, দিদার মার্কেট, দেওয়ান বাজার, আন্দরকিল্লা, মোমিন রোড, কদম মোবারক, চেরাগি পাহাড়, জামালখান, প্রেসক্লাব, খাস্তগীর স্কুল, গণি বেকারি, চট্টগ্রাম কলেজ, প্যারেড ময়দানের পশ্চিম পাশ হয়ে পুনরায় কাতালগঞ্জ, মুরাদপুর, বিবিরহাট প্রদক্ষিণ শেষে আবার জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ফিরে যাবে দুপুরের মধ্যে। জামেয়া ময়দানে দুপুর ১২টায় মাহফিল এবং মাহফিল শেষে জোহর নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে জশনে জুলুস উপলক্ষে শনিবার ভোর থেকেই নগরীর বিভিন্ন এলাকয় তারকা খচিত ধমীয় পতাকা নিয়ে অবস্থান নিয়েছে।
এসময় শুভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে কোমল পানীয় ও হাল্কা খাবার বিতরণ করতে দেখা যায়।
এদিকে বিশাল এ শোভাযাত্রার কারণে নগর জুড়ে তীব্র জানজট লেগে গেছে। লাখ লাখ মানুষের অংশ নেয়া বিশাল জুলুসের নিয়ন্ত্রণ করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জামেয়া ময়দানে দুপুর ১২টায় মাহফিল এবং মাহফিল শেষে জোহর নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান আনজুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় কর্মকর্তা সৈয়দ আনোয়ার হোসেন জানান এবারের জুলুসে বৃহত্তর চট্টগ্রামে ২০ লাখ থেকে ২৫ লাখ ধর্মপ্রাণ লোক অংশ গ্রহণ করেছে।
আনজুমান ট্রাস্ট এর মতে, ১৯৭৪ সালে গাউসে জামান সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে জশনে জুলুসের প্রবর্তন করেন। যা আজ বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নবী দিবসে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় অনুষ্ঠান হিসেবে অনুসৃত ও উদযাপিত হয়। এবারের জুলুসে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত আছেন পাকিস্তান দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের আউলাদে রসুল, আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ (মা.জি.আ.) ও আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ আহমদ শাহ্ (মা.জি.আ.)।
জসনে জুলুস আবিস্কৃত হয়েছে খৃষ্টানদের বড় দিন থেকে সেদিন তারা তাদের নবীর ঈসা আঃ এর জন্ম দিন পালন করে।আমাদের নবী সঃ বলেছেন ইহুদী,খৃষ্টান যা পালন করে তোমরা তা করবেনা।
বেদাত,
Right
জুলুস করার কথা কোথায় আছে ইসলামে?
kew pabena kothao…
বিদআতীরা পাইল কোত্তেকে
রথযাত্রা……..!
ইসলামে এ জাতীয় আনুষ্ঠানিকতার কোন স্থান আছে মনে হয় না।
shothik kotha
Yes
যারা ওখানে যাইনি তাদের সংখ্যা অনেকগুন বেশি….
Right
এটা কোনো ধমীয় উৎসব নয়। স্রেফ ব্যবসা।। বেদাত ছাড়া কিছুই না।।।
এগুলা এরা কোথায় পাইল? এরা কি আনন্দ করে না দুঃখ করে? এদিন রাসুল (সঃ) দুনিয়াতে এসেছেন আবার এদিনই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন বলে কথিত আছে।
বিদাত…
রাসূল দ. এসেছেন,
ঈমান-ইসলাম-কালিমা এসেছে। চলে যায়নি।
কুরআন এসেছে। কুরআন চলে যায়নি।
নামায রোজা হজ যাকাত এসেছে। চলে যায়নি।
রাসূল দ. চর্মচোখের সামনে নেই, কিন্তু তাঁর সুন্নাহ্ উসওয়াতুন হাসানাহ্ চলে যায়নি।
তাঁর শাফাআত চলে যায়নি, বরং আসছে।
এবং তাঁর দেখানো পথে জান্নাতও চলে যায়নি, বরং ইনশাআল্লাহ্ আসছে।
সবচে বড় কথা, রাসূল দ. মুহিব্বীনের কাছ থেকে চলে যাননি। তিনি যে ‘আওলা বিল মু’মিনিনা আনফুসিহিম’ বা মু’মিনদের নিজ নাফসের চেয়েও কাছে! এত কাছের কেউ কি আর দূরে আছে?
পৃথিবীর সকল সূফিপন্থী এবং মাযহাবপন্থীরা বিশ্বাস করে, রাসূল দ.’রও ইন্তেকাল হয়েছে। কিন্তু তিনি রওযা শরীফে সশরীরে আছেন। আক্বিদা, নবীগণের দেহকে স্পর্শ করা মাটির জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে। রাসূল দ. ‘শাহিদাও ওয়া মুবাশশিরাও ওয়া নাদ্বিরা’ অর্থাৎ তিনি আল্লাহর রহমতে আমাদের সাক্ষ্যদাতা (শাহিদ) স্পষ্টকর্তা (মুবাশশির) এবং আমাদের কৃতকর্ম চাক্ষুষ দ্রষ্টা তথা নাদ্বির। রাসূল দ. কে স্বপ্নে-ধ্যানে-জাগরণে পাবার আশাও আমরা রাখি যদিও তিনি মানবীয় সুরাত নিয়ে বিচরণরত নন। (এই আক্বিদাগুলো অত্যন্ত বেশি আলোচনার বিষয়, যা আমরা এখানে করব না, শুধু আক্বিদাটা তুলে ধরছি।)
রাসূল দ. সমগ্র জগতসমূহে আল্লাহর রহমত।
আয়াত: এবং আমরা আপনাকে প্রেরণ করিনি সমগ্র জগতসমূহে আল্লাহর রহমত না করে।
জগতসমূহ থেকে আল্লাহর কোনও রহমতই উঠে যায়নি,
কুরআন, ইসলাম, ঈমান, ইহসান, নামায, রোজা, হজ, যাকাত, সুন্নাহ্, আহলুল বাইত, ক্বাবা, মদিনা, বাইতুল মুকাদ্দাস এমনকি খোদ্ মুসলিম উম্মাহ্ কোনকিছুই আলহামদুলিল্লাহ্ বিলুপ্ত হয়নি।
রাসূল দ.’র আগমনের কারণেই আমরা এসব পেয়েছি এবং না রাসূল দ. না তাঁর আনা বিষয়গুলো বিলুপ্ত হয়েছে তাই আমরা রাসূল দ.’র নৈকট্যের জন্য তড়পালেও, তাঁকে সরাসরি সামনে না পাবার জন্য চিরব্যথী থাকলেও মূলত শোক করেন না গহীন বিশ্বাসীরা।
বরং তাঁকে ও তাঁর আনা এসবকিছু পাবার আনন্দে বিভোর থাকেন।
ঈমান ভিন্ন জিনিষ এবং আমল ভিন্ন জিনিস , সহীহ ঈমানের সাথে আমল দুনিয়া ও আখেরাতের ফায়দা পৌঁছায় ,
ভনডামী, বেদাত
হায়রে ধর্ম প্রান মুসলিম! অাজ যে অামাদের প্রিয় রসূল (সা:)অামাদের ছেড়ে চলে গেছেন, তার জন্য কান্না অাসে না? তোমাদের জন্য দরকার ওমর (রা:) এর মতো মহান মানুষের , তরবারীর অাঘাতে একটা কল্লাও থাকতো না,
Roth tantese?
বদমাইশের দলের কাজই হচ্ছে এগুলি করা।
তাছাড়া তাইররার এখানে কি???