অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

প্রেম যমুনার ঘাট

0

বগুড়া শহর থেকে ২২ কিলোমিটার পূর্বে সারিয়াকান্দিতে অবস্থিত ভ্রমণ স্পট প্রেম যমুনার ঘাট। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে এখানে তৈরি করা হয়েছে যমুনা নদীর ভাঙ্গন রক্ষার্থে একটি বিশাল বাঁধ। যমুনা নদী এবং এই বাঁধের সৌন্দর্য একসাথে মিলেমিশে এখানে তৈরি হয়েছে এক অনিন্দ সুন্দর ও প্রাকৃতিক পরিবেশ। এখানে নদীতে ভ্রমনের জন্য আছে ছই ছাড়া এবং ইঞ্জিনের নৌকা। ইচ্ছা করলেই ঘুরে আসা যায় ওই পাড়ের চর থেকে। যমুনার বুকে প্রেম যমুনার ঘাটটিই সবচে সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন ঘাট। নদীতে ভ্রমনের সময় হঠাৎ করে পেয়ে যেতে পারেন ছোট বড় অনেক চর। এমন চর পেয়ে গেলে সেখানে নেমে গোসলও করতে পারেন মনের আনন্দে। এটি হতে পারে আপনার জীবনের একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা। গোসলের সময় হয়তো আপনার মুখ থেকে অবলিলায় বেড়িয়ে আসবে বিখ্যাত সেই গান ” আরে যমুনার জল দেখতে কালো স্নান করিতে লাগে ভাল…”

এখানে যাবার আগে বগুড়ার সাতমাথার আকবরিয়া থেকে প্যাকেট লাঞ্চ নিয়ে যেতে পারেন। তাতে যমুনার চরে বসে সেরে ফেলতে পারেন ছোট খাটো একটি পিকনিক।

বগুড়া থেকে সারিয়াকান্দি হয়ে প্রেম যমুনার ঘাট যাওয়ার পথটাও কম নজর কাড়ে না। পথে পরে বাঙাল নদীসহ আরও ছোট ছোট কয়েকটি নদী বা খাল, সাথে পথের দু’পাশে নয়ন জুড়ানো ফসলের মাঠ আর বিল তো আছেই।

যেভাবে যেতে হবে
আপনাকে প্রথমে ঢাকা বা আপনার নিজস্ব ঠিকানা থেকে যেতে হবে বগুড়া। ঢাকা থেকে বগুড়া আসার সবচাইতে উত্তম পন্থা হল বাস। বগুড়ায় ট্রেনে যাওয়ার পরিকল্পনা অংকুরেই বিনাশ করেন। মার্সিডিজ বেঞ্জ, গ্রীন লাইন, ভলভো থেকে শুরু করে “মফিজ” গাড়ি সবই পাবেন ঢাকা-বগুড়া রুটে। তবে এই রুটের সবচে ভাল (ইকোনমি+ভাল মান) গাড়ি হল এস আর ট্রাভেলস, টি আর ট্রাভেলস, শ্যামলী ইত্যাদি। যাবেন ঢাকার কল্যানপুর থেকে।
নামবেন ঠনঠনিয়া আন্তঃজেলা কোচ টার্মিনালে।

শহর থেকে বাসে কিংবা সিএনজি বেবিট্যাক্সি কিংবা নিজস্ব গাড়ী করে সোজা যেতে পারেন সারিয়াকান্দি। বগুড়া থেকে মাত্র ২২ কি.মি. দুরত্ব সময় লাগবে সর্বোচ্চ ৩০ মি.।

কোথায় থাকবেন
থাকার জন্য বগুড়ায় আপনার জন্য আছে হোটেল নাজ গার্ডেন (ফোর স্টার মানের), পর্যটন মোটেল (বনানী মোড়ে), সেফওয়ে মোটেল (চারমাথা), নর্থওয়ে মোটেল (কলোনী বাজার), সেঞ্চুরি মোটেল (চারমাথা), মোটেল ক্যাসল এম এইচ (মাটিডালি)। এগুলা প্রত্যেকটাই শহরের বাইরে, নিরিবিলি পরিবেশে। আর শহরের মধ্যেও অনেক হোটেল আছে তার মধ্যে একেবারে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত হোটেল আকবরিয়া অন্যতম। নবাব বাড়ি রোডেও আছে কয়েকটি হোটেল। বেছে নিন যে কোন একটি।