অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

২০ জিম্মি, ৬ সন্ত্রাসী, ২ পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু-আইএসপিআর

0
ispr_222193
সেনা সদর দপ্তরে আয়োজিত আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সংবাদ সম্মেলন।

গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে জিম্মি উদ্ধার অভিযানে ২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকায় সেনা সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এ তথ্য জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই ২০ জনকে গতকাল শুক্রবার রাতেই হত্যা করা হয়। এ ছাড়া গতকাল রাতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। যৌথ কমান্ডো অভিযানে ছয় সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে এবং সন্দেহভাজন একজন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে জিম্মিদশা থেকে তিন বিদেশিসহ ১৩ জনকে মুক্ত করা হয়।

‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ নামের এ অভিযানের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেন, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‍্যাব সম্মিলিতভাবে তৎপরতা চালায়।

সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে অভিযান শুরু হয়। এরপর ১২ থেকে ১৩ মিনিটে সব সন্ত্রাসীকে নির্মূল করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অভিযানের সমাপ্তি হয়।

মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক নাঈম আশফাক চৌধুরী জানান, অভিযানে ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁদের মধ্যে তিন বিদেশি রয়েছেন। তাঁদের একজন জাপানি, দুজন শ্রীলঙ্কান। তিনি আরো জানান, অভিযানে সাত সন্ত্রাসীর মধ্যে ছয়জন নিহত হয়। আহত হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে একটি মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হয়। এই নম্বরটি হলো ০১৭৬৯০১২৫২৪।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই অভিযানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, র‍্যাব নিরলসভাবে সাহসিকতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করে। অতি দ্রুততার সঙ্গে এই অভিযান সফল করা হয়। এতে আরো বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য এই অভিযান সফল হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে হামলার বিষয়ে আরো জানানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনের শেষে এই অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তার জন্য গণমাধ্যমকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানানো হয়।