অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

যোগ্য সন্তান গড়তে চাই শক্ত ও সচেতন অভিভাবক

0

‘পারফেক্ট’ আশা করেন না
সন্তানের কাছে অতিরিক্ত প্রত্যাশা করা ঠিক নয়। এতে সন্তানের মাঝে হতাশা তৈরি হয়। সচেতন অভিভাবকরা সন্তানের সব কিছুই ‘পারফেক্ট’ হতে হবে, এমনটা আশা করেন না। তারা ভুল-ত্রুটির মাধ্যমেই সন্তানকে শেখানোর চেষ্টা করেন।

দায়িত্ব এড়াতে দেন না
অনেক অভিভাবককেই বলতে শোনা যায় যে ‘ছোট মানুষের আবার কাজ কীসের।’ কিন্তু সচেতন বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানকে দায়িত্ব এড়াতে দেন না। খেলনা গুছানো, বই খাতা গুছানো, রুম গুছানো, নিজের খাবারের প্লেট ধুয়ে ফেলা, নিজেই নিজের পোশাক পরে নেয়ার কাজগুলো তারা সন্তানকে দিয়েই করান। ফলে সন্তান ছোট বেলা থেকেই দায়িত্ব পালন করতে শিখে ফেলে।

ব্যথা পেলেই ছুটে যাওয়া নয়
সন্তান খেলতে গিয়ে পড়ে গেছে। একটু কেটে গেছে পা। এতেই দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন না বাবা-মায়েরা। কারণ সন্তানকে ব্যথা পেলে নিজেই উঠে দাঁড়ানো শিখতে হবে। অল্প ব্যথাতেই কাতর হতে দিতে চান না তারা।

আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখান
একটু ছোট থাকতে সন্তান কাঁদলেই কোলে তুলে তাকে শান্ত করা হয়। কিন্তু একটু বড় হওয়ার পর সচেতন বাবা মায়েরা তাদের সন্তানকে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখান। তাদের রাগ, জেদ, দুশ্চিন্তাকে সব সময় প্রাধান্য দেন না তারা। সন্তানকেই তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখিয়ে দেয়াই থাকে তাদের উদ্দেশ্য।

সব ভুল শুধরে দেন না
সন্তান হয়তোবা ক্রিকেট মাঠে যাবে। সব নিয়েছে অথচ ব্যাটটাই নেয়নি। অথবা এক্ষেত্রে সচেতন বাবা মায়েরা সন্তানকে মনে করিয়ে দেন না। কারণ ভুল থেকেই মানুষ শিখে।

নিয়মকে শাস্তির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন না
সুন্দর জীবনের জন্য নিয়ম মাফিক চলার বিকল্প নেই। কিন্তু অনেক অভিভাবকই নিয়ম এবং শাস্তি এই দুইয়ের মাঝে গুলিয়ে ফেলেন। সচেতন অভিভাবকরা নিয়মের মাঝে চলার অভ্যাস করেন। ফলে সন্তান ভবিষ্যতে সফল হতে পারে।

কষ্ট বাঁচাতে ফাকি দেন না
সন্তান খেতে অনেক সময় নেয়, তাই অনেক অভিভাবকই ইদানীং টিভি দেখিয়ে সন্তানকে খাওয়ান। কিন্তু এই সহজ পন্থার আছে দীর্ঘ মেয়াদী খারাপ প্রভাব। তাই সচেতন অভিভাবকরা সন্তানের জন্য প্রয়োজনে কষ্ট করেন, কিন্তু ফাকি দেন না।