অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অ্যালার্জির সমস্যায় যে ভুলগুলো আমরা সাধারনত করি…

0

অনেকেরই রয়েছে মৌসুমি অ্যালার্জির সমস্যা। অন্যদের কাছে অ্যালার্জি তেমন একটা গুরুতর ব্যাপার মনে না হলেও ভুক্তভোগী মাত্রই বোঝেন এই জ্বালা। শরীর ও মন দুটোই একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে যায় অ্যালার্জির পাল্লায় পড়লে। কিন্তু অ্যালার্জি এড়াতে গিয়েই আবার তারা করে ফেলেন মারাত্মক কিছু ভুল। কী সেসব ভুল? আসুন, জেনে নেই।

১। না বুঝেই বিভিন্ন রকমের ওষুধ ব্যবহার করা
অ্যালার্জির যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই ফার্মেসিতে গিয়ে এটা সেটা কিনে থাকেন। যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, নাসাল স্প্রে, আই ড্রপ ইত্যাদি। কিন্তু ঠিক কি কারণে আপনার অ্যালার্জি হচ্ছে তা না জেনেই যদি এসব ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন তবে এতে আপনার উপকার কমই হবে। উপরন্তু গুচ্ছের টাকা খরচ হবে, সাথে সাথে শরীরের ক্ষতি হবারও সম্ভাবনা থাকে। আপনার যা করা উচিৎ তা হলো ডাক্তার দেখিয়ে আগে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া আপনার অ্যালার্জি ঠিক কি ধরণের। এর পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

২। জানালা খোলা রাখা
জানালা খোলা রেখে যথেষ্ট আলোবাতাস ঘরে প্রবেশ করালে তখন আর কোনো অসুস্থতা থাকার সম্ভাবনা কমে যায়। এ চিন্তা করে অ্যালার্জির রোগীরাও জানালা হাট করে খুলে দেন। কিন্তু এর ফলে এমন সব উপাদান ঢুকে পড়ে আপনার ঘরে যাতে অ্যালার্জি আরো বেড়ে যায়। যেমন বিভিন্ন পরাগরেণু এবং ধুলাবালি। যে সময়টায় আপনার অ্যালার্জি বেশি হয় সে সময়ে ঘরে বেশি বাতাস ঢুকতে না দেওয়াই ভালো।

৩। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান ঘরে নিয়ে আসা
আপনার জুতো, কাপড়, চুলে লেগে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী ধুলাবালি প্রতিনিয়তই ঘরে চলে আসছে। ঘরের পোষা প্রাণীটিও একই কাজ করছে। এসব কারণে যতোটা সম্ভব পরিষ্কার থাকতে পারা যায় তত ভালো। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে এসে মাথার চুল ধুয়ে ফেলাটাও অনেক জরুরী। নয়তো চুলে লেগে থাকা ধুলাবালি বালিশেও লেগে যাবে এবং রাতভর সেই ধুলোময় বালিশে ঘুমিয়ে আপনার অবস্থা আরো খারাপ হবে।

৪। চোখের অবহেলা করা
অনেকেই জানেন না যে, অ্যালার্জি তৈরি করা পরাগরেণু যে চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। চোখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারলে অনেক সমস্যা কমে যায়। সানগ্লাস ব্যবহার করে চোখ থেকে দূরে রাখতে পারেন এসব সমস্যা। নিয়মিত চোখ ধুয়ে ফেলাটাও জরুরী।

৫। সময়মত অ্যালার্জির ওষুধ ব্যবহার না করা
যতক্ষণ না পর্যন্ত কষ্ট অসহনীয় পর্যায়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত অনেকেই ওষুধ খাওয়া বা চোখে/নাকে ড্রপ দেওয়া পছন্দ করেন না। এই কাজটি করার ফলে কিন্তু আরো বেড়ে যায় অসুস্থতা। যখনই বুঝবেন আপনার অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিয়েছে, তখনই ওষুধ ব্যবহার করা উচিৎ। এমনকি যারা জানেন যে মৌসুম আসলেই তাদের অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেবে, তাদের উচিৎ মৌসুম শুরুর সাথে সাথেই ওষুধ নেওয়া শুরু করা। এতে মৌসুমের পরের দিকে কষ্ট যেমন কম হবে তেমনি ওষুধ কিন্তু কম লাগবে।

৬। নাসাল স্প্রে বেশি ব্যবহার করা
অনেকেই অ্যালার্জি কমানোর জন্য ডাক্তারের দেওয়া নাসাল স্প্রে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেকে নিয়ম মেনে চলেন না। বেশি ব্যবহারের ফলে এই স্প্রে নাকের ভেতরের অংশে এবং সাইনাসে ক্ষতি করতে পারে। এমনকি বেশি ব্যবহারে অ্যালার্জির সমস্যার চাইতেও বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে এসব স্প্রে।

৭। অ্যালার্জি আরও বাড়িয়ে দেয় এমন খাবার খাওয়া
অ্যালার্জি আছে এমন মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়, বিশেষ কিছু ফল বা সবজি খেলে তাদের অ্যালার্জি অনেক বেড়ে যায়। মুখে এবং গলায় চুলকানি, অস্বস্তি দেখা দেয়। কখনো এসব খাবার কাটাকাটি করলে, ধুতে গেলে বা রান্না করতে গেলেও এসব সমস্যা হয়ে থাকে। আপনার যদি জানা থাকে যে কোনো খাবারে আপনার অ্যালার্জি বেড়ে যায়, তবে সেই খাবার থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।