অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

লাল মাংস মানেই মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি!

0

আমাদের মাঝে অনেকেই আছেন আরা মাংস অন্তপ্রাণ। যেনো মাংস না খেলে তারা মারাই যাবেন। কিন্তু তারা এটা জানেন না যে মাংস খেয়েই তারা নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, এই বিষয়টি মাংস খাওয়ার আনন্দের সাথে ভুলে গেলে চলবে না একেবারেই। কারণ অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তা আপনার সব আনন্দকে মাটি করে দিতে পারে মুহূর্তেই। তাই জেনে রাখুন অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়ার মারাত্মক কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং নিয়ন্ত্রণ করুন মাংসের পরিমাণ।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়: জেএএমএ ইন্টারনাল মেডিসিনের একটি রিপোর্টে বলা হয়, ‘অতিরিক্ত এবং দীর্ঘদিন যাবত লাল মাংস খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। প্রতিদিন মাত্র ৩.৫ আউন্সের লাল মাংস ডায়াবেটিসের ঝুঁকি প্রায় ১৯% পর্যন্ত বাড়িয়ে তোলে।

লাল মাংস রক্তনালী ব্লক ও শক্ত করে: লাল মাংসে পাওয়া যায় কারনিটাইন নামক একটি কম্পাউন্ড যা রক্তনালী ব্লক এবং অ্যাথেরোস্কেলেরোসিস হওয়ার জন্য দায়ী। লাল মাংসে পাওয়া কারনিটাইন ইন্টেস্টাইনের ব্যাকটেরিয়ার সাথে মিলে ট্রাইমেথিলামাইন-এন-অক্সাইড গঠন করে যা হৃদপিণ্ড ড্যামেজ করার জন্য দায়ী।

অকাল মৃত্যু ঘটায়: যারা অতিরিক্ত লাল মাংস খান তাদের অকাল মৃত্যু ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশি। এর কারণ হিসেবে গবেষকগণ জানান অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়ার ফলে দেহে ক্ষতিকর টক্সিনের পরিমাণ অনেক বেশি বেড়ে যেতে থাকে যার কারণে ক্যান্সারের সম্ভাবনা দেখা দেয়। এছাড়াও কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা বৃদ্ধি পায় বলে ধীরে ধীরে আয়ু কমে আসতে থাকে।

ক্যান্সারের আশংকা: অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস কলোরেক্টাল ক্যান্সারের আশংকা বাড়ায়। অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়ার ফলে প্রতি ৩ জনের মধ্যে অন্তত ১ জনের ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা দেখা দেয়। সুতরাং সর্তক হওয়া জরুরি।

অ্যালঝেইমার ও মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হ্রাস: অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কে আয়রনের মাত্রা বেড়ে যায় যার ফলে মেইলিন নামক ফ্যাটি টিস্যুর আবির্ভাব ঘটে যা নার্ভের ফাইবারের ওপর বাড়তি একটি লেয়ারের সৃষ্টি করে এবং নার্ভ নষ্ট করে দেয়। এতে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় এবং অ্যালঝেইমার রগের সৃষ্টি হয়।

ই.কলি ব্যাকটেরিয়া: এই ব্যাকটেরিয়াতে আক্রান্ত হতে পারেন খুব সহজেই যদি অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে। এবং এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে দেহে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়, অ্যাবডোমিনাল ক্রাম্পের সমস্যা দেখা দেয় এবং সব চাইতে মারাত্মক সমস্যা কিডনি ফেইলিওর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।