অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

যে ৫টি ভিটামিন পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা যাবে না

0

প্রত্যেকটি মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি ভিটামিন। দেহের পর্যাপ্ত বৃদ্ধি ও সুস্থ থাকার ক্ষেত্রে ভিটামিনের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেক সময় দৈনিক খাবার-দাবারের পাশাপাশি নানা ধরনের ভিটামিন ট্যাবলেটও খেয়ে থাকেন।

চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে যদি ট্যাবলেট খান, তাহলে সমস্যা নেই। কিন্তু দুর্বল থেকে সবল হতে নিজেই ভিটামিন ট্যাবলেট বেছে নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

ভিটামিন এ:
ভিটামিন এ অত্যন্ত শক্তিশালী ভিটামিন যা স্নায়ুতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। কিন্তু আমেরিকার জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউশনের গবেষণা বলছে, যারা ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়া ফুসফুসে ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন এ ট্যাবলেট লিভারের উপরও খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই ট্যাবলেট না খেয়ে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ পেতে রাঙা আলু, গাজর ও বেশি করে ফল খান।

ভিটামিন বি ৬:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরকে চাঙ্গা রাখে ভিটামিন বি ৬। কিন্তু কোনও ব্যক্তি দিনে ১০ মিলিগ্রামের বেশি এই ভিটামিন সমৃদ্ধ ট্যাবলেট খেলে নার্ভের সমস্যায় ভুগতে পারেন। পাশাপাশি ত্বকের রোগ, বমি বমি ভাব, অম্বল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। মাছ, আলু, পেস্তা বাদামের মতো খাবারগুলি নিজের দৈনন্দিন মেনুর সঙ্গে যোগ করে নিন।

ভিটামিন সি:
ভিটামিন এ এর মতো সি-ও শক্তি বৃদ্ধি করে। এতেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কিন্তু ভিটামিন সি ট্যাবলেট নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা চরমে পৌঁছাতে পারে। তার চেয়ে পেঁপে, কমলালেবু, ব্রকলি, টমাটো খেয়ে দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন সঞ্চয় করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ভিটামিন ই:
হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত ভিটামিন ই নেওয়ার অভ্যাস ডেকে আনে মৃত্যু। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ ধরনের ট্যাবলেট না খাওয়াই শ্রেয়। এ সব এড়িয়ে আলমন্ড, পালং শাক, কুমড়ো খেয়ে দেহে ভিটামিন ই-এর ঘাটতি পূরণ করুন।

মাল্টি ভিটামিন:
অনেকেরই ধারণা যে ট্যাবলেটে সব ধরনের ভিটামিনের গুণই বর্তমান, তা খেয়ে শরীরকে সুস্থ ও চাঙ্গা রাখা সম্ভব। ওষুধের দোকানে গেলে মাল্টি ভিটামিন ট্যাবলেটও পাওয়া যায় অনায়াসে। কিন্তু সে ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। এতে হার্টের রোগ এবং ক্যান্সারের সম্ভাবনা প্রবল হয়। তাই দাম দিয়ে মাল্টি ভিটামিনের ট্যাবলেট না কিনে রুটিন মেনে খাওয়া-দাওয়া করুন। কারণ সুস্থ থাকার চাবিকাঠি লুকিয়ে দৈনন্দিন খাবারের মেনুতেই।