অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভ্রমণে ভোজন, খাগড়াছড়ি

0

আমরা আগেও ভ্রমণে ভোজন নিয়ে লিখেছি। আজ তারই ধারাবাহিকতায় আমরা যাবো খাগড়াছড়ি। ভ্রমণ মানেই নতুন নতুন জায়গার সাথে পরিচিত হওয়া। নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া। সব কিছু ছাড়িয়ে ভ্রমণের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে ছুটির দিনে শহরের কোলহল থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা। একটু রিফ্রেশ হওয়ার জন্য। কিন্তু এর মাঝেও অনেকে আছেন যারা যেখানেই ভ্রমণে যান না কেনো তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে সেখানকার জনপ্রিয় খাবার চেখে দেখা। আর করবেই না কেনো বাংলাদেশের সকল অঞ্চলের খাবার এবং রান্নার ধরন কখনোই এক, হবে না সেটা জানা কথা। আর প্রতিটা অঞ্চলের খাবারের স্বাদও হবে আলাদা তাই চেখে দেখা উচিৎ কোনটা কেমন। তাহলে জানতে পারবেন খাবারের অনেক রকম-সকম। আজ আমরা জানবো খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী খাবার সম্পর্কে।

খাগড়াছড়িতে বেড়াতে গেলে সিস্টেম রেস্টুরেন্টে একবেলা না খেলে ভ্রমণটা একটু অপূর্ণই থেকে যাবে। এইতো আড়াই থেকে তিন বছরের মতো হল মং মারমা নিজের বাড়িটাকে রেস্টুরেন্ট বানিয়ে ফেলেছেন। বেয়ারা, বাবুর্চি থেকে ম্যানেজার সবাই পরিবারের সদস্য। একদম শতভাগ পারিবারিক ব্যাবসা বলছিলেন ম্যানেজার লাসাই মারমা (সবাই চেনেন আচিং নামে)।

সিস্টেম রেস্টুরেন্ট ট্র্যাডিশনাল আদিবাসী খাবার পরিবেশন করে। বাঁশকেল (বাঁশের কোড়ল) ভাঁজি; বাঁশকেল ডাল, থানকুনি ভর্তা, হলুদ ফুলের ভর্তা, আদা ফুলের ভর্তা, থৌর ভর্তা, কলা মুচী ভর্তা, মুরগী গুদানী (মুরগীর ভর্তা), অপ্রেং (মিক্সড বয়েল্ড ভেজিটেবল), আমপাতা ভর্তা…… বিশাল মেন্যু লিস্ট।

এটা মনে রাখতে হবে সিস্টেম রেস্টুরেন্টে শুধু দুপুর ও রাতের খাবার বিক্রি হয়। একটু আগেভাগে না গেলে মন মতো আইটেম পাওয়া যাবে না। দাম নাগালের মধ্যে, সস্তাই বলতে পারেন। আপনি চাইলে আগে থাকতে ফোনে খাবারের অর্ডার দিয়ে রাখতে পারেন এই রেস্তরাতে। ফোন: ০১৫৫৬৭৭৩৪৯৩,০১৭৩২৯০৬৩২২

এছাড়া শহরের শাপলা চত্বর মোরে রয়েছে অনেক রেস্টুরেন্ট, এছাড়াও বাস স্ট্যান্ডেও পাবেন খাবারের জন্য বেশ ভালো মানের কিছু রেস্টুরেন্ট।

যদি দিঘিনালা রাত্রি যাপন করেন দিঘিনালা বাজারের খাবারের রেস্টুরেন্ট এ খেতে পারবেন। যদিও দিঘিনালায় খুব একটা ভালো খাবারের ব্যাবস্থা নেই। ভ্রমণের আনন্দ পেতে চাইলে এইটুকু কষ্ট করতেই হবে।