অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে মানববন্ধন পালিত

1
.

পুঁজিবাজারে অব্যাহত দরপতনের প্রতিবাদে চট্টগ্রমে মানববন্ধনে পালন এবং ষ্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে স্বারকলিপি প্রধান করেছে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ইনভেস্টর’স ফোরাম অব চিটাগাং।

আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রামের বানিজ্যিক এলাকা আগ্রবাদস্থ ষ্টক এক্সচেঞ্জের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, ২০১০ সালে শেয়ার বাজার কেলেংকারীর পর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নানামুখী সংস্কার সত্বেও এমন কি দেশে রাজনীতি স্থিতিশীলতা বিরাজ করার পরেও গত তিন মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ প্রায় ৮০০ পয়েন্ট সূচকের পতন হয়। এবং এই পতন ছিল ধারাবাহিক।

বাংলাদেশ যখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠার মহা উৎসব করছে, ঠিক তখন ৩০ লক্ষ বিনিয়োগকারী প্রতিদিন সর্বশান্ত হয়ে তাদের পুঁজি হারাচ্ছে।

একটি মহল কম দামে শেয়ার কেনার জন্য পরিকল্পিতভাবে অব্যাহত ষড়যন্ত্র করছে বলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করেন।

তারা বলেন-ক্ষুদ্রবিনিয়োগকারীদের বদ্ধমূল ধারণা পুঁজিবাজারের বর্তমান সংকটের অন্যতম কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের অদূরদর্শী ভূমিকা। বাংলাদেশ ব্যাংক এক লক্ষ চল্লিশ হাজার কোটি টাকার খেলাফী ঋণ আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে কিভাবে পুঁজিবাজারকে ধ্বংশ করা যায় সে কাজে ব্যস্ত আছে।

.

ইনভেস্টর’স ফোরাম অব চিটাগাং এর আহবায়ক আসলাম মোরশেদের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ন আহবায়ক, খোরশেদ আলম মিলিন, এম, এ কাদের, সাইদুর রহমান, বাহাদুর সহ প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে সংগঠনের নেতারা চট্টগ্রাম ষ্টক এক্সচেঞ্জে গিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাইফুর রহমান মজুমদার কাছে ৬ দফা দাবী সম্বলিত স্বারকলিপি পেশ করেন।

দাবী সমুহ হলো-

২০১৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ সীমা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে সমন্বিত ভিত্তি গণনা করার বিষয়টি আরোপিত হয়েছিল। এতে বাজারের তারল্য প্রবাহের ক্ষেত্রটি সংকোচিত হয়। এমতাবস্থায় ব্যাংক কোম্পানী আইনের ২৬ এর ক ধারা অনুসারে একক/সলো ভিত্তিতে এক্সপোজার গণনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন বন্ড ও ডিবেঞ্চার প্রেফারেনসিয়াল শেয়ার ও অতালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডকে ব্যাংকের এক্সপোজার হিসেবে বাইরে রাখা।

পুঁজিবাজারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এক্সপোজার লিমিট গণনা করার ক্ষেত্রে শেয়ারের বাজার মূল্য অনুযায়ী গণনা না করে ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে গণনা করা।

আই.সি.বি. এর বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানোর কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক কে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাথে বসে সমন্বয় সাধন করা।

২০১৮ সালের শুরু থেকে অদ্যবধি দুই স্টক এক্সচেঞ্জ এর বিক্রি আদেশ পর্যালোচনা করা। এবং ঐ সময় কোনো ব্রোকার হাউজ কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কোনো বিনিয়োগকারীর মাত্রাতিরিক্ত ও চক্রান্তমূলক বিক্রি আদেশ ছিল কিনা তা পরীক্ষা করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানু ব্যবস্থা নেওয়া।

১ টি মন্তব্য
  1. Jalal Uddin Sagor বলেছেন

    hahahah
    2010 theke soro hoise akhon ai bondhon koira ki luv