অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিপিএলে ৪ স্তরের নিরাপত্তার আশ্বাস সিএমপির

0

বিপিএলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস সিএমপি কমিশনারের।

বর্ণিল উদ্বোনীর আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে ক’দিন আগেই। এবার মাঠের লড়াই শুরুর অপেক্ষায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবল। আগামী ২৪ জুলাই আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আসর ঘিরে চট্টগ্রামে সাজ সাজ রব। উৎসবী চেহারা। পাশাপাশি, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থারও আয়োজন চলছে বন্দর নগরীতে। চট্টগ্রামের মাটিতে বিপিএলের খেলাগুলোর সময় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ। এ জন্য চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। বিপিএলে অংশ নেওয়া বিদেশি ফুটবলারদেরও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ইকবাল বাহার।

আগামী ২৪ জুলাই থেকে চট্টগ্রাম এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে বিপিএলের ময়দানী লড়াই। এ উপলক্ষে শুক্রবার সিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিএমপি কমিশনার।

তিনি জানান, খেলা চলাকালীন স্টেডিয়ামের ১৩টি প্রবেশ পথই বন্ধ থাকবে। মোট ৬টি ফটক দিয়ে দর্শকরা ভিতরে ঢুকতে পারবেন। স্টেডিয়ামে মোবাইল ফোন ছাড়া কিছুই সঙ্গে নেওয়া যাবে না। এ ছাড়া ফুটবলারদের অনুশীলনসহ যে কোনো জায়গায় আসা-যাওয়ার সময় নিরাপত্তা দেবে পুলিশ।

সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিপিএল চলাকালীন চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। এ ছাড়া খেলায় অংশ নিতে আসা ১২টি দল নগরীর ৮টি হোটেলে অবস্থান করছে। এসব হোটেলের প্রতিটি লবি ও ফ্লোরে অধিকতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি খেলোয়াড়রা পুলিশের সরবরাহ করা মাইক্রোবাসে করে মাঠে যাবে। পুলিশ গাড়ির দুপাশে নিরাপত্তা দিয়ে তাদের মাঠে নিয়ে যাবে।’

ইকবাল বাহার আরো বলেন, ‘স্টেডিয়ামে শুধু মোবাইল ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ঢুকতে পারবেন না দর্শকেরা। ভ্যানিটি ব্যাগ এমনকি পানির বোতলও সঙ্গে নেওয়া যাবে না।’

স্টেডিয়ামের ভেতর জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) উদ্যোগে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান খোলা হবে। সেসব দোকান থেকে খাবার ও পানীয় সংগ্রহ করতে পারবেন দর্শকরা। যে ৬টি গেট দিয়ে সাধারণ দর্শক এবং একটি গেট দিয়ে ভিআইপি দর্শক স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন, সেগুলোর প্রত্যেকটিতেই মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দর্শকদের দেহ তল্লাশি করা হবে এবং তাদের আর্চওয়ে দিয়ে ঢুকতে হবে বলেও জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার।

ইকবাল বাহার আরো বলেন, ‘প্রতিটি দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা থাকবেন। ফুটবলাররা যে কোনো জায়গায় যেতে চাইলে তারা আমাদের বিষয়টি জানাবেন। আমরা ছাড়পত্র দিলে তবে চাহিদামতো জায়গায় যাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে ফুটবলারদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে।’

সিএমপি কমিশনার আরও জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে ১৮টি ম্যাচ হবে। বিএনসিসির সদস্যরা টিকেট দেখে দেখে দর্শকদের মাঠে ঢুকাবেন। এক্ষেত্রে পুলিশ কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। কোনো সমস্যা চোখে পড়লেই কেবল পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে।