অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কেমোথেরাপি-মুক্ত ক্যান্সারের ‘টিকা’ বাজারে আসতে পারে ১ বছরের মধ্যে

0

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানিরা একটি টিকা দিয়ে ৯৭% ইঁদুরের ক্যান্সারের নিরাময় করতে সক্ষম হওয়ার পর তারা এটি মানুষের শরীরে পরীক্ষা করা শুরু করেছেন।

ইমিউনোথেরাপি বা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে বেশ কয়েকটি গবেষণাকে একত্রিত করে ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য স্ট্যানফোর্ডের বিজ্ঞানিরা কাজ করছেন।

এই গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্ট্যানফোর্ডের ক্যান্সার গবেষক প্রফেসর রোনাল্ড লেভি।

তিনি বলেন, ‘ক্যান্সারের সাথে লড়তে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা কাজে লাগানো খুব সম্প্রতি শুরু হয়েছে। আমরা এখনও এটিকে নিরাপদ ও মানুষের জন্য সবচেয়ে উপকারি করার চেষ্টা করছি।’

এই চিকিৎসায় যে টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটি সাধারণ টিকার মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে না। ‘টি সেল’ নামক একধরনের রক্তকনিকা রোগের সাথে লড়াই করে। বিজ্ঞানিরা ইনজেকশনের মাধ্যমে দুটি ঔষধ দিয়ে শরীরজুড়ে টি সেলকে সক্রিয় করেন। ওই ‘টি’ সেলগুলো পুরো শরীরের টিউমার ধ্বংস করে দেয়।

এই পদ্ধতিতে চিকিৎসার জন্য কোনো কেমোথেরাপি দেয়ার প্রয়োজন হয় না।

লেভি বলেন, এভাবে সব ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যাচ্ছে না। কারণ, একেক ধরনের ক্যান্সার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে একেকভাবে প্রভাবিত করে।

বর্তমানে লেভি লিম্ফোমা অর্থাৎ একধরনের ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্তদের ওপর পরীক্ষা চালাচ্ছেন। এবছরের মধ্যে তারা ৩৫ জন মানুষের ওপর এই পদ্ধতি পরীক্ষা করে দেখবেন।

লেভি বলেন, ‘আমরা যে ঔষধ দুটি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করছি সেগুলো দুটি ভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করছে। এগুলো ইতিমধ্যেই মানুষের জন্য নিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে। আমরা শুধু এগুলো একসাথে প্রয়োগের ফলাফল নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছি।’

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুমোদন দিলে আগামী এক থেকে দুই বছর পরে ক্যান্সারের চিকিৎসায় এগুলো ব্যবহার করা শুরু হতে পারে।

টিকা বা ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্তকনিকা দিয়ে ইতিমধ্যেই কয়েকটি ক্যান্সারের চিকিৎসা করা যায়। তবে, এগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং এতে রোগ নিরাময়ের হার খুব কম।