অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে নগরীতে লিফলেট বিতরণ করলেন শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, অনির্বাচিত সরকারের দলীয়করনকৃত প্রশাসনের কাছে সুশাসনের প্রত্যাশা আজ দুরাশায় পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার সোনালী অর্জন গণতন্ত্র, সুশাসান ও বৈষম্যহীন সমাজ বিনা ভোটের সরকারের দুর্নীতি, অনাচার ও স্বৈরাচারের হাতে অর্থহীন।

তিনি আজ ১ এপ্রিল রবিবার সকালে নগরীর কাজীর দেউরী মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, সরকারের অনুগত নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের সহায়তায় জাতীয় সংসদ ও সবগুলো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে দখল করা হয়েছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য রাষ্ট্রীয় সংবিধান থেকে তত্ত্ববধায়ক সরকার ও গণভোটের বিধান বাতিল করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন এবং জনগণের মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন শেয়ার বাজার লুট হয়ে গেছে এবং আরেকবার লুটের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। সরকারী বেসরকারী ব্যাংক এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পর্যন্ত লাখ লাখ কোটি টাকা সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় লুট হয়ে গেছে। বিদেশে পাচার করা হয়েছে লক্ষ কোটি টাকার ও বেশী। অথচ তাদের কোন বিচার হয় না। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা মন্ত্রীত্ব করছে, সংসদ সদস্য হিসেবে বহাল তবিয়তে আছে। অন্যদিকে দেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশমাতা বেগম খালেদাজিয়াকে মিথ্যা অভিযোগে আটক রেখেছে। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে এদেশের জনগণ অচিরেই বেগম জিয়াকে মুক্ত করে আনবে।

এসময় নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিবাদী জনগণের কন্ঠস্বর, গণতন্ত্র পুনরুদ্বার আন্দোলনের নেত্রী, গণতন্ত্রের মা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। হাইকোর্টে জামিন পেলে ও অসুস্থ নেত্রীর জামিনের আপিল শুনানির জন্য দেড় মাসেরও বেশী সময় দেয়া অস্বাভাবিক ঘটনা। তিনি বলেন-নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সীমাহীন ও অব্যাহত উর্দ্ধগতিতে জনজীবন অতিষ্ট। শ্রমিকের প্রকৃত আয় কমে গেছে। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায় না।

মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, জিয়া অরফনাজ ট্রাস্টের যে মামলায় বেগম জিয়াকে জেলে নেয়া হয়েছে, অথচ এই ট্রাস্ট গঠন ও পরিচালনার সঙ্গে বেগম জিয়া প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল না। তিনি এই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কিংবা স্বাক্ষরকারী ছিলেন না। অর্থাৎ আত্মসাৎ তো দূরের কথা বেগম জিয়া বা তার পরিবারের কোন সদস্য উক্ত একাউন্ট থেকে এক টাকাও উত্তোলন করেনি। বিচার ব্যবস্থাকে কবজা করে এই মিথ্যা রায়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনা তার চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করেছে।

লিফলেট বিতরণকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, হাজী মো. আলী, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, মো. ইকবাল চৌধুরী, যুগ্মসম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, এসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মন্নান, সামশুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মবিন, নগর মহিলা দল সভানেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মো. আলী মিঠু,,স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ আলম পান্না, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, থানার সভাপতি ডা. নুরুল আবছার, আবদুল্লাহ আল হারুন, সহসম্পাদক আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহাজাহান, আজাদ বাঙালী, আবু মুসা, শফিক আহমেদ, আলমগীর নূর, মো. হাসেম সওদাগর, থানার সম্পাদক জাকির হোসেন, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পদিকা জেলী চৌধুরী, নগর বিএনপির সদস্য ইউসুফ সিকদার, শাহেদা আকতার, মো. আলমগীর, ওয়ার্ড সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, কাজী সামশুল আলম, মনজু আলম মঞ্জু, আবদুল্লাহ আল ছগির, আলী আব্বাস খান, এম এ হালিম বাবলু, জাহেদ উল্লাহ রাশেদ, হাসান ওসমান, হাজী মো. এমরান, ছাত্রদল নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান, আলী মর্তুজা খান প্রমুখ।