অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সাতকানিয়ায় প্রতিবন্দ্বী নারী ধর্ষণ: তদন্তে পিবিআই

0
ছবি: প্রতিকী।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় প্রতিবন্ধি নারী ধর্ষনের মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে। মানবাধিকার আইনজীবীদের সহায়তায় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারক বেগম রোখসানা পারভীন এর আদালতে ভিকটিমের মামা মোঃ ফরিদুল আলম অভিযোগটি দায়ের করা হয়

আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র পর্যালোচনা পূর্বক অভিযোগটি পিবিআই চট্টগ্রামকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

বাদীর কোর্টে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বক্কর ড্রাইভার একাধিক নারী কেলেংকারীর হোতা। বর্তমানে বান্দরবান হাফেজঘোনা বাস ষ্টেশনে তার এক স্ত্রী আর সাতকানিয়া উত্তর ঢেমশা নিজ বাড়ীতে অপর আরেক স্ত্রী রয়েছে।

গত ১৮ ডিসেম্বর রাত অনুমান ১০ টার সময় ভাগিনী সম্পর্কের ২০ বছর বয়সী প্রতিবন্দ্বী তরণীকে পার্শ্ববর্তী পুকুরে থালাবাসন ধোয়ার জন্য গেলে আসামী তাকে প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে নির্জন খালপাড়ে নিয়ে ধর্ষন করে।

কিছুদিন পর ভিকটিমের শারীরিক অসুস্থতা ও পরিবর্তন পরিলক্ষিত হলে স্থানীয় গাইনী বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরীক্ষা ও আলট্রাসনোগ্রাফী টেস্টে মেয়েটির গর্ভবর্তী হওয়ার বিষয়টি প্রকাশ পায়

ভিকটিম উক্ত আসামী কর্তৃক ধর্ষণের বিষয়টি সাক্ষীদের নিকট প্রকাশ করে। দায়েরকৃত মামলায় ধর্ষণের ফলে ভবিষ্যতে জন্মগ্রহণকারী শিশুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৩ ধারার বিধান মতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন জানানো হয়। মোহাম্মদ আবু বক্কর প্রঃ বক্কর ড্রাইভার (৪৫) সাতকানিয়া উত্তর ঢেমশা মৃত আবদুল মোনাফ এর পুত্র ।

মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন-বিএইচআরএফ প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগটির সত্যতা পাওয়া যায়।

এর পর গত ২৯ মার্চ দলিলপত্র ও ভিকটিম সহ সাতকানিয়া থানায় এজাহার দায়ের করতে গেলে প্রতিবন্দ্বী নারীকে ধর্ষণের মামলাটি থানা গ্রহণ করেনি।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন মানবাধিকার আইনজীবী এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সান, এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার।