অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে সরকার-ডা. শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সংবিধানে দেওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে সরকার। জনগণের কথা বলার অধিকার, রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে বর্তমান সরকার।  সংবিধানের কোন অংশই মানছে না তারা।  আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নয় বলেই সংবিধানের তোয়াক্কা করছে না।

তিনি মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল)  বিকালে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বেগম জিয়ার মুক্তির দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও সরকার একাকার হয়ে গেছে। দুদককে এখন বিরোধী দল দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার। সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলা দিয়ে বেগম জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। দলের ঐক্যে ফাটল ধরাতে না পেরে দুদককে দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে বায়বীয় অভিযোগ এনে মিথ্যা ও হয়রাণীমূলক মামলা দায়ের করেছে।

আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সক্রিয় নেতাদের হেয় করার জন্য এই মামলা করা হয়েছে। এটা সরকারের অশুভ মাস্টার প্ল্যানেরই অংশ। চট্টগ্রামের পরিচ্ছন্ন ও জনপ্রিয় নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এম মোরশেদ খান ও ফয়সাল মোর্শেদ খানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা সমাবেশ থেকে এ মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, বর্তমান বিনা ভোটে ক্ষমতা দখলদার সরকার দেশের জনগণের সাথে তামাশা করছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে আবার তাদের সভা সমাবেশে ভোট চাচ্ছে। এটি জাতির সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকার শুধু ভোটধিকার নয় কেড়ে নিয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা।

সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেছেন, সরকার দুদককে ব্যবহার করে বিএনপি নেতাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে দূরে সরাতে চাচ্ছে। এটি একটি আষাঢ়ে গল্প। সরকার যতই কল্পকাহিনী তৈরী করুক না কেন বিএনপির নেতাদেরকে বেগম জিয়ার মুক্তির আন্দোলন থেকে এক পা ও দূরে সড়াতে পারবে না। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে আবারও প্রমাণ করলো তারা সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হাতিয়ার।

বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন (৪), চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, হাজী মোহাম্মদ আলী, সবুক্তগীন সিদ্দিকী মক্কি, হারুন জামান, সৈয়দ আহমদ, কামাল উদ্দিন কন্ট্রাক্টর, এস এম আবুল ফয়েজ, নুরুল আলম, এস এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, হাজী মো. তৈয়ব, প্রচার সম্পাদক সিহাব উদ্দিন মবিন, মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, শেখ নুর উল্লাহ বাহার, সামশুল আলম, আবু জহুর, মো. আলী মিঠু, হাজী নুরুল আকতার, হামিদ হোসেন, ডা. সরওয়ার আলম, নুরুল আকবর কাজল, ইসমাইল হোসেন কমিশনার, আবদুল বাতেন, মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী হানিফ সওদগার, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, আবদুল্লাহ আল হারুন, সহসম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী।