অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কাজীর দেউড়ি থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার ৭ যুবক ২দিনের রিমাণ্ডে

0
.

চট্টগ্রামে জঙ্গি সন্দেহে আটক ৭ যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।  সোমবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান এ রিমান্ড আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানান, তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিলেন।  শুনানি শেষে আদালত দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

আদালত সুত্রে জানাগেছে রিমাণ্ড শুনানীকালে আদালত প্রত্যেকে নাম ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা সুস্থ্য আছেন কিনা। এবং তাদের শরীরে কোন আঘাত রয়েছে কিনা। তারা নিজেদের সম্পূর্ণ সুস্থ্য বলে জানানো পর আাদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন যেভাবে সুস্থভাবে ৭ জনকে রিমাণ্ডে নেয়া হচ্ছে ঠিক সেভাবে যেন রিমাণ্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) রাতে কোতোয়ালী থানার কাজীর দেউড়িস্থ পুরাতন বিমান অফিস গলির মসজিদের সামনের থেকে সাতজনকে জঙ্গি সন্দেহে আটক করে র‌্যাব-৭।

তারা হলেন মো. মহিউদ্দিন তামিম (২৯), মো. আফজার হোসেন (২১), মো. ইমরান খান (২৭), মো. দাউদ নবী পলাশ (২৮), চৌধুরী মোহাম্মদ রিদওয়ান (২৭), এসএম জাওয়াদ জাফর (২৬) ও মো. মুনতাসিরুল মেহের (২৬)।

গ্রেফতারকৃত ৭ জঙ্গির মধ্যে একজন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ছাত্র। মো. আফজার হোসেন (২১) নামের ওই যুবক চবি’ট হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, জঙ্গি সন্দেহে আটক হওয়ার পর আফজারের খোঁজ নিচ্ছে তারা। তার বিরুদ্ধে অ্যাকাডেমিক ব্যবস্থার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বলেন, ‘এ রকম একটা খবর আসার পর আমরা সত্যটা যাচাই করছি। যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চৌমুহনী এলাকার মো. নুর হোসেনের ছেলে আফজার।

পরিবার নিয়ে তারা নগরের কোতোয়ালি থানার জামালখান ওয়ার্ডের পুরাতন বিমানঅফিস এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
তার বাবা মো. নুর হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব ছিলেন। ২০০৫ সালে তাকে ওএসডি করা হয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।
র‌্যাব সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের রমজানে আফজারের সঙ্গে আতিক নামে একজনের পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক উগ্রবাদের দাওয়াত পায় আফজার। পরে আরও একজন ইয়াকুবের সঙ্গে উঠাবসা হয় তার। সেই থেকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসএ’র সমর্থক হয়ে যায় আফজারসহ অন্য ৬ জঙ্গি। হোয়াটস অ্যাপে তারা ‘দ্বীন ফোর্স এক্সট্রিম’ও ‘ইখওয়ান’ নামে দুইটি গ্রুপে সক্রিয় থেকে জিহাদি ভিডিও ও ছবি প্রচার করে নিজেদের কথিত জিহাদের জন্য প্রস্তুত করছিল।

চট্টগ্রাম জোনের র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিমতানুর রহমান বলেন, ‘আফজার জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ওই দুইজনের কাছ থেকে দাওয়াত পেয়ে আল কায়দার সমর্থক হয়ে যায়। পরে ‘দীন ফোর্স এক্সট্রিম’ও ‘ইখওয়ান’ নামে দুটি গ্রুপে সক্রিয় থেকে জিহাদি ভিডিও প্রচার করে তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘তার বাবা মো. নুর হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ছিলেন এবং ২০০৫ সালে তাকে ওএসডি করা হয় বলে আফজার জানিয়েছে।